পুরুষরা জান্নাতে হুর পাবে কিন্তু নারীরা কী পাবে?

পুরুষরা জান্নাতে হুর পাবে কিন্তু নারীরা কী পাবে?

 

 

হে মুসলিমরা, তোমাদের জন্য নাকি জান্নাতে ৭০ জন হুর পরী থাকবে তাই তোমরা মানুষকে হত্যা কর? (অন্যরা মুসলিমদেরকে টিটকারির সুরে এটা বলে) এমন অনেক কিছুই তারা বলে। এখন প্রশ্ন হলো আল্লাহ কি কুরআনে হুরদের কথা বলেছেন? হ্যাঁ, আল্লাহ বলেছেন। এখানে লুকানোর কিছুই নেই। আসলে আমি যখন নিজে ধর্মের ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছিলাম, এই একটি বিষয় ছিল যার উত্তর আমি নিজেই বের করতে পারিনি যে কেন আল্লাহ কুরআনে এটা বলেছেন? আর হ্যাঁ, অবশ্যই আপনাদের বোনদের (উপস্থিত) মাঝে এই ব্যাপারে কারো কোন প্রশ্ন নেই। কিন্তু আপনারা জানেন অন্য বোনদের এই ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে (মজা করে বলেছেন)। মেয়েরা বলেন,”‘ভাই, কুরআন পুরুষদের জন্য সুন্দর স্ত্রীদের কথা বলে, নারীরা তাহলে কি পাবে”? অবশ্যই আপনাদের এই প্রশ্ন নেই, কারণ আপনারা জানেন কাদের আছে। ঠিক কিনা? তো আমি তাদের জন্য এখন বলি। আলোচনার পর এ জবাবটা সেই কাল্পনিক একজনকে দিয়ে দিবেন। হাঃ হাঃ হাঃ। এর কারণ হল, আমার কাছে কখনো কোন বোন এই প্রশ্ন নিয়ে আসে নাই যে তার এই সমস্যাটা আছে। সে বলে, ‘আমার এক আত্মীয়া, আমার এক বান্ধবী, এক পরিচিত বোন আমাকে প্রশ্নটি করেছিল আর আমি ভেবে পাচ্ছি না তাকে কি উত্তর দিব।’ হাঃ হাঃ হাঃ। কোন সমস্যা নেই। মানলাম। হাঃ হাঃ হাঃ।

আমার মাথায়ও কিন্তু এই প্রশ্ন এসেছিলো যে কেন এসব রোমাঞ্চকর পুরষ্কার, সুন্দরী স্ত্রী, এই ধরনের জিনিসগুলোর কথা কুরআনে বলা হয়েছে? আর শুধু তাই নয় এগুলোর বর্ননাও খুব বিস্তারিতভাবে এসেছে। এই সুরাতে অত বিস্তারিত হয়তো নেই । কিন্তু, তারপরও কেন? আমি এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলাম। একবার আমি ডঃ ইসরার আহমেদের (রাহিমাহুল্লাহ) সাথে খুবই অল্প সময়ের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করে কথা বলেছিলাম । তিনি বেশ রাশভারী চরিত্রের মানুষ ছিলেন (রাহিমাহুল্লাহ)। তিনি এখন মারা গেছেন। তিনি তখন নিউইয়র্কে এসেছিলেন। আমি উনাকে প্রথম বারের মত উনার মাথার বিশাল টুপিটা ছাড়া দেখেছিলাম. তিনি বেশ আরাম করে বসেছিলেন। উনার পাশে আরেক আঙ্কেলও ছিলেন। উনার চুলগুলো উল্টো করে আঁচড়ানো আর উনি বসে কি চিন্তায় যেন মগ্ন ছিলেন। আমি উনাকে দেখে বেশ ভয়ই পাচ্ছিলাম। আমি তাঁর পাশে বসলাম, বেশ একটা অস্বস্তিকর নীরবতা কিছুক্ষণ। আমার মনে অনেকগুলো প্রশ্ন ছিল। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ কেন কুরআনে হুরের ব্যাপারে বলেছেন? ও আল্লাহ! ও আল্লাহ! আমি এটা কি করলাম? হাঃ হাঃ হাঃ। এভাবেই তিনি আমাকে চিনেন। তিনি আমাকে তার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু কথা বলেছিলেন যা আমার কাছে বেশ যৌক্তিক মনে হয়েছে। তিনি এক দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছেন। এছাড়াও আরেকজন আলেম, যার সাথেও আমার নিউ ইয়র্কেই দেখা হয়েছিল, তিনি আরেক দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখা করেছিলেন। যাই হোক সেই ব্যাখ্যাতে আমি সন্তুষ্ট হয়েছি। আমি জানি না আপনারা সন্তুষ্ট হবেন কিনা। কিন্তু আমি নিশ্চিত আমি সন্তুষ্ট।

তিনি বলেছেন, আমাদের সমাজে ছেলেরা সব সময় আশেপাশে অশ্লীলতা (ফাহসা) দেখে থাকে। নবীজি (সাঃ) উনার উম্মাহর জন্য এই বেহায়াপনা/অশ্লীলতা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আর আমাদের ধর্ম অন্যান্য ধর্মের তুলনায় ছেলে মেয়েদের মেলামেশার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি রক্ষণশীল ও নিয়ন্ত্রিত। সেটা ছেলে-মেয়েদের পোশাক পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে দুই বিপরীত লিঙ্গের মাঝে কি ধরনের কথোপকথন হবে, কোন নন-মাহরামের সাথে একা থাকলে কি হবে, কোন মজলিশে কি ধরনের আয়োজন হবে ছেলেমেয়ের জন্য- সবকিছুই এর অন্তর্ভুক্ত। এ ক্ষেত্রে অনেক বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যাই হোক, আপনাদেরকে এখনও পড়ানো হয়নি, আর যদি সুযোগ থাকে তাহলে সুরা নূর এর রেকর্ডিংটা আবার দেখে নিতে পারেন। সেখানে এমনকি কেউ আপনার বাড়িতে আসলে কিভাবে ঢুকতে হবে সেটা পর্যন্ত শেখানো হয়েছে। কেউ দরজা নক করল আর ঢুকে পড়লো এরকম হবে না। মহিলাদের আগে নিজেদের ঠিক/ঠাক করার সুযোগ দিন। এবং আলাদা রুমে যেতে দিন…ইত্যাদি। এতো বিস্তারিত নিয়ম/কানুন বর্ণনা করা হয়েছে যে, দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় আছে যখন আপনার সন্তানও এমনকি আপনার রুমে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদেরকে বাইরে থেকে নক করতে হবে। বাসার মাঝেও ছেলেমেয়েদের মেলামেশার জন্য কিছু নিয়মাবলি রাখতে হবে। এটা বেশ চমৎকার একটা ব্যাপার। আপনারা হয়তো এ বিষয়টাও জানেন যে, ছেলেমেয়েরা একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর গায়ে দেবার কাঁথাও শেয়ার করতে পারে না। আমাদের ধর্মে এরকম অনেকগুলো অসাধারণ বিধিনিষেধ ও সতর্কতা রয়েছে। এটা ভেবে দেখার মত বিষয়।

আর এটার ঠিক উল্টো বিবরণ হচ্ছে জান্নাতের। ঠিক কিনা? সেখানে যুবক ছেলেরা সুন্দরী স্ত্রী পাবে। সেখানে কোন কিছুতে কোন বাধা থাকবে না। সে যা মন চাইবে তাই পাবে। আর সেই স্ত্রীদের বিস্তারিত বর্ণনাও দেয়া হয়েছে। ডঃ ইসরার আহমেদ ( রাহিমাউল্লাহ) ঠিকই বলেছিলেন। কেননা এই ছেলেটি যখন কলেজে যায়, চোখ নিচু রাখে। সেখানে খুবই কম কাপড় পরিহিত মেয়েরা থাকে। মেয়েটি বলে হেই, কেমন আছ? কিন্তু সেই ছেলেটি ফিরে তাকায় না। সে বলে, আল্লাহ আমার জন্য উত্তম প্রতিদান রেখেছেন। না, আল্লাহ আমার জন্য উত্তম প্রতিদান রেখেছেন, আর সে নিজেকে এর থেকে বাঁচিয়ে চলে। যদিও তার উত্তেজিত হরমোনগুলো তাকে বলে দেখতে, তার চোখগুলো তার কাছে ভিক্ষা চায় তাকানোর জন্য। তার কৌতূহলতা তাকে তাকাতে উৎসাহ দেয়। সেখানে সুযোগ, স্বাধীনতা, যৌবন, তেজ, সৌন্দর্য সবকিছু থাকে তার জন্য। কিন্তু সে বলে আমি ফিরে তাকাবো না, আমি এটা করবো না। আমি একটা ভুল পদক্ষেপও নিবো না এক্ষেত্রে। আল্লাহর কাছে আমার জন্য উত্তম প্রতিদান আছে। তার সব বন্ধুরা সেই ভুল পথে যায়, কিন্তু সে যায় না।

এটা শুধু আল্লাহর অসাধারণ ন্যায়বিচার যে জান্নাতে তিনি সেই পানীয় প্রদান করেন যা এখানে আমাদের জন্য নিষিদ্ধ। সে আনন্দগুলো প্রদান করেন যেগুলো থেকে আমরা নিজেদের এই দুনিয়ায় নিবৃত করি। তিনি বলেন, দেখ, তুমি কিভাবে বিরত রেখেছিলে নিজেকে, এই নাও, উপভোগ কর, আগে বাড়, আমি তোমার জন্য দরজা খুলে দিলাম। তো এগুলো হচ্ছে আসলে সেই বাধানিষেধের বিপরীত যেগুলো আল্লাহ এই পৃথিবীতে দিয়েছিলেন। এই জন্য শালীনতা এতোটা জরুরী এইখানে। আপনারা জান্নাতে আনন্দ ফুর্তি করতে চান? তাহলে এখানে নিজের শালীনতা বজায় রাখুন। আল্লাহ জানেন আমাদের লোভ আছে। তিনি আমাদের চিন্তাগুলোকেও অস্বীকার করেন না। তিনি জানেন ওয়াসওয়াসা সব সময় আমাদের মনে আসে। সাইকোলজিতে পাবেন যে, একজন সাধারণ মানুষ এসব বিষয়ে দিনে কতবার চিন্তা করে। আপনারা এটা অস্বীকার করতে পারবেন না। আপনারা জানেন, এটা মানুষের মাঝে আছেই। আল্লাহই দিয়েছেন মানুষের ভিতরে। যুইয়িনা লিন্নাসি হুব্বুশ শাহাওয়াতি মিনান নিসা- –মানুষের কাছে সুশোভিত করা হয়েছে নারী (সুরা ইমরান, আয়াত ১৪)।

প্রথমত, আল্লাহ কিন্তু জান্নাতে অনুমতি দিবেন যেন মানুষকে আর তার প্রবৃত্তিকে বেঁধে রাখতে না হয়। এখন দ্বিতীয়ত, আল্লাহ যখন পুরুষদের জন্য এমন পুরষ্কারের বিবরণ দিয়েছেন, তাহলে নারীদের জন্য কেন দেন নাই? পুরুষরা একাধিক স্ত্রী পায় কিন্তু তারা কেন একাধিক স্বামী পায় না? কোন রাখঢাক না রেখেই যদি বলেন। আমার এক অভিজ্ঞতার কথা আপনাদেরকে বলি। একবার এক সানডে স্কুলে আমাকে একটা মানসিক পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিল কিছু কিশোর, কিশোরীকে নিয়ে। তাদের উভয়কেই একই প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, যদি তোমাকে এমন কিছু চাইতে বলা হয় যেটা তোমরা পাবে, যতবার ইচ্ছা চাও পাবে, কোন বাধা থাকবে না, কেও জানতে পারবে না, তোমরা কোন সমস্যার সম্মুখীনও হবে না, ধার্মিক দৃষ্টিকোন থেকেও কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না, তোমরা যা চাও এখনি পাবে , সেটা কি হবে? কি চাইবে? এই প্রশ্নটা ১০০ কিশোর ও ১০০ কিশোরীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। উম্মাহর ছেলেদের মাঝে যেন ইজমা আছে, সবার একই উত্তর। সেখানে কোন বৈচিত্র নাই, বানানের ভুলগুলো ছাড়া, তাদের উত্তরে কোন বৈচিত্র্য নাই। মজার উত্তরটি এসেছিল মেয়েদের কাছ থেকে। আরেকটা ব্যাপার হল, ছেলেদের উত্তর তাই ছিল যা আল্লাহ সু্বহানাহু ওয়াতাআলাও বলেছিলেন। যুইয়িনা লিন্নাসি হুব্বুশ শাহাওয়াতি মিনান নিসাই(আলে ইমরান, ১৪)। পুরুষদের মাঝে নারীদের আকাঙ্ক্ষা সহজাত। আল্লাহ পুরুষদের মাঝে এই আকাঙ্ক্ষা দিয়েছেন। শেষ। এটা যেন তারই প্রমাণ। মেয়েরা বেশ মজার উত্তর দিল। একজন বলে, “আমাকে কি আরও ৫ মিনিট সময় দেয়া যাবে”? “ বা ২ মিনিট”? অনেকে আবার তাদের পেপারটা জমা দেয়ার সময় বলে, “না, না! আমি কি আমার পেপারটা ফেরত নিতে পারি কারণ আমার মাথায় অন্য উত্তর এসেছে”। কেউ কেউ একবার কেটে লিখে, তারপর আবার কেটে লিখে। অনেকে একাধিক উত্তর দিয়েছিল কারণ তাদের একটা উত্তর হবে না। আমার প্রিয় উত্তরটি ছিল – যা অনেকেই দিয়েছিল – তারা লিখেছিল, ‘এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে ’। হাঃ হাঃ হাঃ। এটা খুবই ভাল, বেশ ভাল। কেউ লিখেছে, আমি শুধু আমার মার সাথে থাকতে চাই। আবার কেউ বলেছে পনি (ক্ষুদ্রকায় ঘোড়া)। যাই হোক সব ধরণের উত্তর ছিল, আবার কেউ লিখেছে সেই পুরুষটি যাকে আমি ভালবাসি তার সাথে থাকতে চাই। আমি সব ধরনের উত্তর পেয়েছিলাম। একটা উত্তর কিন্তু ছিল না। আসল বিষয় হল, উত্তর একাধিক ছিল।

আল্লাহ আজ্জা ওজাল আমাদের (পুরুষদের) আবেগকে একমুখী বানিয়েছেন। আমরা শুধু একভাবেই চিন্তা করি। সাধারনভাবে। বুঝাতে চাইছি যে, অন্যরকম কিছু পুরুষও আছে যারা নারীদের ভালবাসার থেকেও বইকে বেশি ভালবাসে, এরকমও আছে। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগকেই আল্লাহ একই চিন্তা ধারার করেছেন এবং আল্লাহ এখানে সেটার কথাই উল্লেখ করেছেন। ঠিক কিনা? আমি বোনদের খুশী করার জন্য বলছি না, এটা আমার নিজের প্রত্যয়। আর আল্লাহ যা বলেছেন আমি সেটা ব্যাখা করতে লজ্জিতও না। আল্লাহর কালামের ব্যাপারে আমাদের সৎ থাকতে হবে। কাউকে খুশী বা বেজার করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমি আল্লাহর কালাম সম্পর্কে যতটুকু বুঝেছি সেটাই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে যে, জান্নাতে নারীদের জন্য পুরষ্কার আরও বৈচিত্র্যময়, অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। আমি আপনাদের জন্য একটা আরবি বাক্য শেয়ার করবো, ‘রব্বা সুকুতিন আব্লাহুম মিন কালামিন’- সম্ভবত নীরবতা অনেক সময় উচ্চস্বরে কথা বলার থেকেও বেশি বুঝায়। আল্লাহ আজ্জা ওজাল নীরব আছেন এই ব্যাপারে কারণ এই নয় যে পুরস্কার নেই, বরং তা ভাষায় অবর্ননীয়। আর এই বিষয়টি অন্য ক্ষেত্রেও আছে কুরআনে। বিভিন্ন আমলের জন্য বিভিন্ন পুরষ্কার রয়েছে। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু আমল এতোটাই তাৎপর্যপূর্ণ আল্লাহর কাছে যে, সেই আমলগুলোর পুরষ্কার ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তো ঐসব আমলের জন্য আল্লাহ কি বলেন, ‘ফা আজ্রুহু আলাল্লাহ’- ‘যে এই ধরনের আমলগুলোর পুরষ্কার আল্লাহই শুধু জানেন’,আল্লাহই দেখবেন। তিনি এমনকি বলেননি, বাগান, নদী, সঙ্গী, এগুলো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, তিনি খেয়াল রাখবেন, ওই দায়িত্ব উনার। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় যে, এই ধরনের অবর্ণনীয় পুরষ্কার তাদের জন্য যারা প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও অন্যদের মাফ করে দেয়। ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মাফ করে দিলে, সে এই অবর্ণনীয় পুরষ্কার পাবে। আল্লাহ বলেন, আমি দেখবো। সুবহানাল্লাহ! এখন, নারীদের পুরষ্কারের কথা বলা হয় নাই, তার মানে এই নয় যে তাদের কোন পুরষ্কার দেওয়া হবে না। বরং, এটা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কল্পনার উপর। প্রসঙ্গক্রমে, কোন মুসলিম নারী পুরুষের এমনটা ভাবা উচিত না যে তারা অল্প প্রতিদান পাবে। জান্নাতে যান, আপনারা হতাশ হবেন না।

‘যদিও আমি পাই, আমার যদি পছন্দ না হয়?’ আপনাদের পছন্দ হবে। প্রমাণ কি আপনারা পছন্দ করবেন? প্রমাণ সুরা ফুসিলাত, সুরা নং ৪১, আল্লাহ আযাওজাল সমগ্র মানব জাতিকে বলেন, ‘ওয়ালা কুম ফিহা মা তাশ্তাহি আন ফুসুকুম’- তোমরা যা চাইবে, তাই পাবে। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই। যা চাইবেন, সেখানে তাই থাকবে। এবং তারপর আরো কিছু, তারপর আরো বেশি কিছু। ‘ওয়ালাকুম ফিহা মাতাদ্দাওউন’- পরে অন্য কিছু মাথায় আসতে পারে, আপনি অন্য কিছু অর্ডার করতে চান, দাঁড়াও, দাঁড়াও, দাঁড়াও, আমি ঐটাও চাই। কোন সমস্যা নাই, আপনি সেটাও পাবেন। এটা এমন না যে একবার অর্ডার করার পর আর করা যাবে না। আপনাকে সেখানে থেমে যেতে হবে। না, না, না, আপনি আপনার মন পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি অন্য কিছু অর্ডার করতে পারবেন, অসাধারণ! জান্নাতের সেই দরজা নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই খোলা।

নুমান আলী খান।

আপনি আরও পড়তে পারেন