গুলশান থেকে ফিলিপিনো নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার

গুলশান থেকে ফিলিপিনো নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে ফিলিপাইনের এক নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ আসা কলের তথ্যের ভিত্তিতে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, রোববার রাত সাড়ে ৮টায় গুলশান-১ এর ১২৫ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাসা থেকে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান ওই বাসার একটি টয়লেটের ছোট জানালার গ্রিলের সাথে গলায় বেল্ট প্যাঁচানো অবস্থায় এক ফিলিপিনো নাগরিকের দেহ ঝুলে আছে। তিনি বেঁচে আছেন নাকি তারা বুঝতে পারছিলেন না, কারণ দেহটি দেওয়ালের দিকে মুখ করে ঝোলানো ছিল, তারা শুধু শরীরের পেছনের দিকটা দেখতে পারছিলেন।

ওই কলার আরও জানান, ফিলিপিনো নাগরিকের নাম এলিনো চেনাই ইভলি (৬৫)। তিনি কক্সবাজারের মাতারবাড়ি পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রজেক্টে কসকো ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। গত মাসের গোড়ার দিকে ফিলিপাইন যাওয়ার জন্য ঢাকায় এসে করোনা টেস্ট করান, কিন্তু করোনা পজিটিভ হওয়ায় তিনি দেশে যেতে পারেননি। এরপর তাকে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর করোনা নেগেটিভ হওয়ার পর তিন-চার দিন আগে এই বাসায় আসেন তিনি।

তিনি বলেন, কিন্তু বাসায় আসার পরও নানা রকম শারীরিক সমস্যার কারণে তাকে কয়েকবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়েছে। রোববার বিকেলে তিনি টয়লেটে গেলে অনেক্ষণ পরও বের না হলে তারা ভেবেছিলেন তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন তাই তারা অ্যাম্বুলেন্স কল করেন। এরপর বাথরুমের দরজা খুলে এই অবস্থা দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ ফোন করেন।

৯৯৯-এর এই কলার এলিনো চেনাই ইভলির সঙ্গে একই প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি গুলশান থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়। ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে গুলশান থানার একটি পুলিশ দল অবিলম্বে ঘটনাস্থলে যায়।

এ বিষয়ে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল জানান, তারা ঘটনাস্থল থেকে ফিলিপিনো নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন এবং বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে তিনি মারা গেছেন।

পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও তিনি জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন