পুরো জাতির জন্য প্রশান্তির প্রতিশ্রুতি তালেবানের

পুরো জাতির জন্য প্রশান্তির প্রতিশ্রুতি তালেবানের

মাত্র একদিন আগেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করেছে তালেবান। আফগান ভূখণ্ডের প্রধান হর্তাকর্তা এখন তারাই। তবে তালেবান শাসনের ভয় আর আতঙ্কে আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলার। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত মানুষকে শান্ত করতে নতুন একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছে তালেবান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (১৬ আগস্ট) দেওয়া নতুন ওই ভিডিও বার্তায় আফগান জাতির উদ্দেশে কথা বলেছেন তালেবানের উপ-প্রধান নেতা মোল্লা বারাদার আখুন্দ। সেখানে তিনি বলেন, এখন সময় হয়েছে আফগানিস্তানের মানুষের সেবা আর তাদের জীবনমান উন্নয়ন করার।

কাবুল দখল ও বিজয় ঘোষণার একদিন পরে নতুন এই ভিডিও বার্তা প্রচার করা হলো। বার্তায় মোল্লা বারাদার আখুন্দ আরও বলেন, ‘জাতিকে আমরা সবচেয়ে ভালো সেবা দেবো, পুরো জাতির জন্য প্রশান্তি নিয়ে আসবো, তাদের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য যা করা দরকার, আমরা সেটাই করবো।’

এসময় ভিডিওবার্তায় তালেবানের অন্যান্য যোদ্ধা ও সহযোগীদেরকে মোল্লা বারাদারের পাশে অবস্থান করতে দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে আমাদের এখানে আসতে হয়েছে, তা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। একইসঙ্গে আজ আমরা যে অবস্থানে পৌঁছেছি, তাও কেউ ভাবেনি।’

এদিকে তালেবান আতঙ্কে আফগানিস্তান ছাড়তে চাওয়া মানুষের ঢেউ যেন উপচে পড়ছে কাবুল বিমানবন্দরে। এতে করে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির। বাধ্য হয়ে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন মার্কিন সেনারা।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের একটি ফ্লাইটে ওঠার চেষ্টা করলে বাধ্য হয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে মার্কিন সেনারা।

বিমানবন্দর থেকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ‘এখানে আমার খুব ভয় লাগছে। তারা আকাশের দিকে অনেক গুলি ছুঁড়ছে।’

এদিকে একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিমানবন্দরে আতঙ্কিত মানুষের ভিড় কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতেই ফাঁকা গুলি করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অনেকগুলো ভিডিওতে গুলির শব্দও শোনা যাচ্ছে।

অনেকগুলো ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মানুষজন রানওয়ের দিকে দৌড়ে গিয়ে বিমানে ওঠার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানগুলোতে কূটনৈতিক কর্মীদের আগে সরিয়ে নিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ফলে মানুষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা আর বিভ্রান্তি আরও বেড়ে গেছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন