জনঘনত্ব বিচারে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নে প্রাধান্য দেওয়া হবে

জনঘনত্ব বিচারে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নে প্রাধান্য দেওয়া হবে

জনঘনত্বের বিচারে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে মহাপরিকল্পনায় প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ৯ম বোর্ড সভায় তিনি এই তথ্য জানান।

ডিএসিসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমরা ৩০ বছর মেয়াদি যে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি, সেই কার্যক্রম শুরু করেছি। এরইমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা প্রাথমিক কার্যক্রমও শুরু করেছে। আমরা সেই মহাপরিকল্পনায় ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দেব। এলাকার চাহিদা নির্ধারণ করে এবং জনঘনত্বকে বিবেচনায় নিয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক উন্নয়নকে আমাদের মহাপরিকল্পনার আওতায় আনা হবে।

শিগগিরই কাউন্সিলরদের নিয়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে চুক্তি করা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করা হবে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা শহরে যেসব সরকারি সংস্থা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে তাদেরকে নিয়ে ইতোমধ্যে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমরা একটি মতবিনিময় সভা করেছি। আপনাদেরকে নিয়েও একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে। সেখানে আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত মতামত দেবেন, আপনার এলাকার উন্নয়নকে তুলে ধরবেন, আপনাদের চাহিদা তুলে ধরবেন।

এ সময় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার কবলে নাজেহাল হতে হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, এর আগের বছরগুলোতে ঢাকা শহর অল্প বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয়ে যেত। এ বছর পুরো শ্রাবণ মাসজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। আষাঢ় মাসের প্রথম দিকে যে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে, তখন কয়েক ঘণ্টার জন্য জলমগ্নতা হয়েছিল। কিন্তু সামগ্রিকভাবে যদি আমরা দেখি, তাহলে এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ থেকে ঢাকাবাসীকে মুক্ত রাখতে পেরেছি।

এ সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংস করতে কাউন্সিলরদের চলমান সার্বিক তৎপরতার প্রশংসা করেন এবং ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে মুক্তি দিতে আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।

সভায় করপোরেশনের কাউন্সিলররা ছাড়াও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন