অন্য মহিলাকে নিয়ে সহবাস,ধরা পড়ে স্ত্রীর হাতে, ঘাতক স্বামী সহ প্রেমিকা আটক।

বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অন্য হিন্দু মহিলাকে নিয়ে সহবাস,ধরা পড়ে স্ত্রীর হাতে, ঘাতক স্বামী সহ হিন্দু প্রেমিকা আটক।

সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর চান্দুলিয়া এলাকায়, চারতলা একটি বাড়ির তৃতীয় তলায়, ভাড়াটিয়া স্কুল শিক্ষিকা, নূপুর মন্ডল, বরিশালের পিরোজপুর, আলমনগর এন এ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চাকরী করতেন বলে জানা যায়, এর আগে এই সনাতন ধর্মের নূপুর মন্ডল আশুলিয়ার কাটগড়া এলাকায় একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে, চাকরি করা অবস্থায়, সেখান থেকেই পরিচয় হয় সনাতন ধর্ম হিন্দু নুপুর মন্ডলের সঙ্গে প্রেমিক মুসলিম ধর্মের ইউনুস আলীর। তারপর ২০১৮ সাল থেকেই চলছে তাদের দীর্ঘদিনের প্রেম।

বর্তমানে স্ত্রী আমেনা খাতুনের অভিযোগ, সে কিশোরগঞ্জ এলাকায় মৎস্য অধিদপ্তরে সরকারি চাকরি পেয়েছেন প্রায় 2 বছর আগে, তারপর থেকেই তিনি তার স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তানদের সাথে কোন যোগাযোগ রাখতেন না, বা সাংসারিক কোন প্রকার সহযোগিতা করেন নি।
স্ত্রী আমেনা খাতুনের আরো অভিযোগ, আমি সহ আমার বাচ্চাদের সাথে চাকুরীর দোহাই দিয়ে কিশোরগঞ্জ থেকে কখনোই দেখা করতে আসতেন না, তবে আমরা গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়েছি তিনি একজনের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়েছেন, এবং কিশোরগঞ্জ থেকে প্রায়ই সাভারে ওই মেয়ে নুপুর মন্ডল এর বাসায় যাতায়াত করেন, পরে আমরা অনেক খোঁজ খবর নিয়ে নুপুর মন্ডল এর বাসা বের করি হেমায়েতপুরের এই কান্দুলিয়া এলাকায়, বেশ কয়েকদিন ফলো রাখার পর আজ আমরা বিষয়টি সরাসরি হাতেনাতে ধরতে পারি, এবং 999 এ কল দিয়ে জানালে পুলিশ এসে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেন এবং তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন ।
এ বিষয়ে ঘাতক স্বামী ইউনুস আলী বলেন এই মেয়েটিকে আমি বিয়ে করেছি যদিও তার কোন প্রমাণ নেই, এসময় তিনি আগের স্ত্রী প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যান, এবং বলেন তোদের যা ইচ্ছে করে দেখাস, তোরা আমাকে কিছুই করতে পারবেনা।
এ বিষয়ে এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এবং তাদের বিয়ের কোন কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেনি, প্রথম স্ত্রী অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা থানায় নিয়ে যাচ্ছি তাদেরকে আইন মোতাবেক জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্ত্রী আরো জানান, আমার স্বামী ইউনুস আলী কলেজ লাইফ থেকে শুরু করে সমস্ত খরচ আমার বাবা বহন করেছেন তাকে শিক্ষিত বানিয়েছেন, তিনি আজ যে মৎস্য অধিদপ্তরে চাকরি পেয়েছেন তাও আমার বাবার অবদান।
এ বিষয়ে ঘাতক স্বামী ইউনুছ আলী কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি, শুধু এটুকু বলেছেন তিনি আমার বিবাহিত স্ত্রী।
আর এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষিকা নুপুর মন্ডল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ও ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে চাননি।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন