জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন এর কবলে গ্রামীণ সড়ক, ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন

জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন এর কবলে গ্রামীণ সড়ক, ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন

হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ

জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন এর কবলে পড়ে আলমপুর – রৌয়াইল সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। সড়কটি রক্ষাকল্পে দুই গ্রামবাসীর অর্থায়নে চলছে মাটি ভরাট এর কাজ। সড়কটি স্থায়ীভাবে রক্ষাক্লপে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

আজ ৬ ই সেপ্টেম্বর রোজ সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় ও জানাযায়,  সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলাধীন রানীগঞ্জ ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত কুশিয়ারা নদীর তীর ঘেঁষা রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড় এলাকায় রয়েছে আলমপুর – রৌয়াইল সড়ক। এই গ্রামীণ সড়ক দিয়ে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন এর আলমপুর, নোয়াগাঁও, রৌয়াইল, বালিশ্রী,হরিণাকান্দী ও মেঘারকান্দী সহ ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ দৈনন্দিন কাজে অসহনীয় দুর্ভোগ এর মুখোমুখি হয়ে উপজেলা সদর সহ বিভিন্ন এলাকায়  যাতায়াত করছেন।

অত্র এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর( এলজিইডি) এর অর্থায়নে প্রথমবার এর মতো ১কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে এই সড়ক এর তিন কিলোমিটার জুড়ে পাকা করণ এর কাজ চলছিল। কাজ পেয়েছে সিলেটের ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান এমআই ইঞ্জিনিয়ার। চলতি সনের ডিসেম্বর মাসে পাকাকরণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু সম্প্রতি প্রবাহমান কুশিয়ারা নদীর স্রোতে ভাঙ্গন এর কবলে পড়েছে সড়কটি। যার ফলে নতুন কাজ শেষ  হওয়ার আগেই সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনরোধে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে অধ্যাবদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অবশেষে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন এর কবল থেকে সড়কটিকে রক্ষা করতে  গত ৪ ঠা সেপ্টেম্বর রোজ  শনিবার থেকে বালিশ্রী ও রৌয়াইল গ্রামবাসীর অর্থায়নে বাঁশের আড় দিয়ে বস্তায় মাটি ভরে ভাঙ্গনে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।

কিন্তু সম্প্রতি কুশিয়ারা নদীর  ভাঙনের কবলে পড়ছে সড়কটি। ফলে সড়কের নতুন কাজ শ আলমপুর, বালিশ্রী, রৌয়াইল, হরিনাকান্দি, মেঘারকান্দিসহ ১০টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে আসছিলেন। ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অবশেষে রৌয়াইল ও বালিশ্রী গ্রামবাসীর অর্থায়নে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন থেকে সড়কটিকে রক্ষায় বস্তায় মাটি ভরে মাটি ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দেড়শতাধিক বস্তা মাটি ফেলা হয়েছে।
রৌয়াইল গ্রাম নিবাসী সুমেন সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি একান্ত আলাপকালে এ ব্যাপারে বলেন, এরই মধ্যে বাড়ী-ঘর, ফসলি জমি,রাস্তা-ঘাট সহ বিভিন্ন স্থাপনা  কুশিয়ারা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন এলাকাবাসীর চলাচলের প্রধান সড়ক ভাঙ্গন এর কবলে পড়েছে। ভাঙ্গনরোধো সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গ্রামবাসীর অর্থায়নে ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন এলাকায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ইতিমধ্যে দেড়শতাধিক মাটি ভরা বস্তা ফেলা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

জগন্নাথপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী ( এলজিইডি) মোঃ গোলাম সারোয়ার বলেন, নদী ভাঙ্গন এর বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন