ফরিদপুরে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, ২ পুলিশ সদস্য আহত

ফরিদপুরে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, ২ পুলিশ সদস্য আহত

ফরিদপুরের নগরকান্দায় পুলিশের কাছ থেকে মাদক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি কাইচাইল ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ঠান্ডুর চাচাতো ভাইকে ছিনিয়ে নেওযার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় আসামির সহযোগীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পুলিশ মাদক মামলার ওই আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের বাবুর কাইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন নগরকান্দা থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রোবায়েত হোসেন ও কনস্টেবল আবু নিশাদ।

এএসআই রোবায়েত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে মাদক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি গোলজার হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে যায়। ওই সময় আসামির আত্মীয়স্বজন পুলিশের ওপর হামলা করে গোলজারকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনি বাদী হয়ে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরকান্দা থানায় একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদক মামলার আসামি গোলজার কাইচাইল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ঠান্ডুর চাচাতো ভাই।

এএসআই বাদী হয়ে যে মামলা করেছেন তাতে আসামি করা হয়েছে- কাইচাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির হোসেনের ভাই সালাউদ্দিন (২৫), আরেক ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ মন্টু (৪০) এবং চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আশরাফ হোসেনসহ (৩৯) অজ্ঞাত কয়েকজনকে।

কাইচাইল ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন ঠান্ডু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভাইয়েরা মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত এটা আমার জানা। তারা আমার কথা শোনে না। বারবার তাদরে বোঝাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তবে আমার ভাই সুলতান এবং চাচাতো ভাই আশরাফ ঘটনাস্থলে ছিল না। তাদের অন্যায়ভাবে পুলিশের মামলায় আসামি করা হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান। তিনি বলেন, মাদক মামলার আসামি ধরতে গিয়ে সহযোগীদের হামলায় আহত ২ পুলিশ সদস্য এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন