মাস্ক না থাকায় রিকশাচালকের মাথা ফাটালেন হাসপাতালের কর্মী

মাস্ক না থাকায় রিকশাচালকের মাথা ফাটালেন হাসপাতালের কর্মী

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় মুখে মাস্ক না থাকায় এক রিকশাচালকের মাথা ফাটিয়েছেন হাসপাতালের গেটে দায়িত্বরত এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিকশাচালক সাহানুরের স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতালের মূল গেট বন্ধ করে দেন। এতে দুর্ভোগে পড়েন করোনার ভ্যাকসিন নিতে আসা শত শত মানুষ। খবর পেয়ে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।

আহত রিকশাচালক সাহানুর রহমান (২৮) ফুলবাড়ী উপজেলার কবির মামুদ গ্রামের মৃত আকবর আলী ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে করোনার ভ্যাকসিন নিতে এক যাত্রী সাহানুরের রিকশায় করে হাসপাতালের গেটে আসেন। সাহানুর ওই যাত্রীকে হাসপাতালের ভেতরে পৌঁছাতে গেলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী অঞ্জন চন্দ্র দাস মুখে মাস্ক না থাকায় বাধা দেন এবং মাস্ক পরে প্রবেশ করতে বলেন। কিন্তু রিকশাচালক দ্রুত যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে আসার অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হলে সাহানুরকে গাছের ডাল দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন অঞ্জন চন্দ্র দাস। এতে সাহানুরের মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সাহানুর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাহানুরের স্বজনরা জড়ো হয়ে হাসপাতালের মূল গেট বন্ধ করে অবস্থান নেন এবং অঞ্জন চন্দ্র দাসের শাস্তির দাবি করেন। এ সময় অঞ্জন চন্দ্র দাস দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।

সাহানুরের মা আম্বিয়া বেওয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। ছেলেটার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার ছেলের মাথায় আটটা সেলাই দিয়েছে। আমার ছেলেটা বাঁচবে কি না আল্লাহ জানেন। আমি ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর উপযুক্ত শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার তাসলিমা নাসরিন জানান, মুখে মাস্ক না পরে হাসপাতালে প্রবেশ নিয়ে মারামারি হয়েছে। রিকশাচালককে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় আটটি সেলাই ও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন