ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত লাশ বস্তাবন্দি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন নরসুন্দর

ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত লাশ বস্তাবন্দি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন নরসুন্দর

চাঁদপুর শহেরর বিপণিবাগ বাজার এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দি গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাজারের পাবলিক টয়লেটের পাশ থেকে নারায়ণ ঘোষ (৬২) নামের মাঠা ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

চাঁদপুর শহরের ঘোষপাড়া মৃত যোগল কৃষ্ণ ঘোষের ছেলে নারায়ণ ঘোষ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দধি, মাঠার ব্যবসা করে আসছিলেন। নারায়ণ ঘোষের এক মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

বিপণিবাগ বাজারের মার্কেটের নাইটগার্ড ইসমাইল বকাউল বলেন, বাজারের টিপটপ সেলুনের মালিক কৃষ্ণা কর্মকারের দোকান থেকে কর্মচারী রাজু শিল (২৭) রাত দুইটার সময় সাটার খোলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে দেখি। পরে রাত ১টার দিকে বস্তা নিয়ে টানাহেঁচড়া করতে করতে বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

এত রাতে কী করা হচ্ছে? এমন প্রশ্ন করলে সে বলে, দোকার পরিষ্কার করেছি। ময়লাগুলো বস্তায় করে ফেলে দিয়ে আসছি। পরে সকালে খবর পাই সেলুনে নারায়ণ ঘোষকে জবাই করে হত্যা করা হয় বলে জানান তিনি।

নিহতের ফুফাতো ভাই চন্দ্রনাথ ঘোষ চন্দ্র বলেন, আমার ভাই মাঠা ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি শহরের বিভিন্ন স্থানে মাঠা-দধি বিক্রি করতেন। সে খুব সরল প্রকৃতির লোক ছিল। তার সাথে সব সময় ব্যবসার টাকা থাকে।

নারায়ণ ঘোষের ছেলে সুমন ও রাজু বলেন, বাবার সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব নেই। রাতে তাকে বাড়িতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু কোথাও পাই না। পরে সকালে বিপণিবাগ বাজার বাবার বস্তাবন্দি লাশের খবর পাই। এসে দেখি বাবাকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধারালো কোনো বস্তু দ্বারা গলায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এখানে জেলা পুলিশ, পিবিআই, ডিবির তদন্তকারী দল কাজ করছে। আমরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন