সন্তান অসুস্থ হলেও ছুটি পাননি, চাকরি ছেড়ে মাসে আয় কোটি টাকা

অসুস্থ বাচ্চাকে দেখভালের কেউ নেই বাড়িতে। তাই বসের কাছে ছুটি চেয়েছিলেন। বস রাজি হননি। উপায় না দেখে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। কিন্তু অভাব জাঁকিয়ে বসে। এখন উপায়? কিন্তু সমস্যা সেখানেই নতুন সম্ভাবনা। চাকরি ছেড়ে দেওয়া ও ব্যক্তি প্রয়োজনের তাগিদেই হয়ে উঠলেন কোটিপতি। তিন বছরের মধ্যে বার্ষিক আয় দাঁড়াল ১৪ কোটি টাকা। কিন্তু কীভাবে?

একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন ওই নারী। তার এক বছরের মেয়ে অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। মেয়েকে দেখাশোনার জন্য অফিস থেকে বসের কাছে ছুটে চান ওই নারী। ছুটি না পেয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর তার পক্ষে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।

বন্ধুদের পরামর্শে বদলে যায় জীবন

কিন্তু তিনি চাকরি না খুঁজে তার বন্ধুদের পরামর্শে অনলাইন বিজনেস শুরু করেন। শুরুতে অনেক রকম বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতার সামনে পড়তে হয়। কিন্তু এখন তিনি প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। কীভাবে কিসের ব্যবসা করে এভাবে কোটিপতি হলেন?

মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে হতো

মিরর ইউকের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই ৩৩ বছর বয়সী ওই নারীর নাম ওমোটায়ো আদিবেসি। ব্রিটেনের নর্দাম্পটনের একটি ইউটিলিটি কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। চাকরি ছাড়ার পর তার বন্ধুরা তাকে একটি প্রস্তাব দেন। নিজের অনলাইন বিজনেস শুরু করতে। এই আইডিয়াই তার জীবন বদলে দিয়েছে। দুটি বাচ্চার মা ওমোটায়ো আদিবেসি অনলাইনে জন্মদিনের খেলনা, গিফট হ্যাম্পার এবং ফিটনেস আইটেম বিক্রি শুরু করেন। tilzmart.com নামের ওই ওয়ান স্টপ শপই কপাল খুলে দেয় তার।

২০১৭ সালে শুরু করেন কোম্পানি

আদিবেসি ২০১৭ সালে নিজের কোম্পানি শুরু করেন। তার নিজের জমা চার লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি জিনিসপত্র কিনে এনে অনলাইনে বিক্রি করতেন।

আদিবেসি জানান, এই কাজ শুরুতে আমার স্বামী আমাকে সহযোগিতা করেছে। ঘরেই জিনিসপত্র প্যাকিং ও লেভেলিং করতেন। ব্যবসায়ের শুরুতেই লক্ষাধিক টাকা লোকসান হয় তাদের। তবে তারা নিজেদের উপর আস্থা হারাননি। ভুলগুলো শুধরে নিয়ে দ্রুতই লাভের মুখ দেখেন।

আমাজনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চমৎকার 

২০১৯ সালে ই-কমার্স সাইট আমাজনে নিজেদের ওয়েবসাইট যুক্ত করেন এই দম্পতি। এখন তাদের ওয়েবসাইটে ৭০টিরও বেশি কোম্পানির ব্র্যান্ড রয়েছে। বাৎসরিক আয় ১৪ কোটি টাকার বেশি। আপাতত তাদের ২৫ জন পার্টটাইম ও ফুলটাইম কর্মচারী রয়েছে। আদিবেসি বিজনেসকে আরও বাড়াতে চান।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন