ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, জোরপূর্বক গর্ভপাত

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, জোরপূর্বক গর্ভপাত

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মহিউদ্দীন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এ মামলা করেছে।

এদিকে টাকার বিনিময়ে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের বিষয়টি ধামাচাপা এবং স্কুল ছাত্রীকে অনত্র বিয়ে দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর মা।

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ও মহিউদ্দীন একই এলাকার তথা একই বাড়ির বাসিন্দা। এই সুযোগে মহিউদ্দীন প্রায়ই তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩০ এপ্রিল রাতে পাশের বাঁশবাগানে জরুরি কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন মহিউদ্দীন।

একপর্যায়ে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি কথিত প্রেমিক মহিউদ্দীনকে জানায়। পরে মহিউদ্দীন পরিচিত একজনের সাহায্যে স্থানীয় মেরি স্টোপ ক্লিনিকে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করায়। পরে ঘটনাটি গোপন রাখার জন্য ভয়ভীতি দেখায়। একপর‌্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে বিষয়টি জানালে তার পরিবার তাৎক্ষণিক মহিউদ্দীনের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তবে প্রস্তাবে রাজি হয়নি মহিউদ্দীনের পরিবার।

ভুক্তভোগীর ভাই জানান, আমার বোন স্কুল যাওয়ায় সময় মহিউদ্দীন প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। গর্ভপাতের বিষয়টি জানার পর মহিউদ্দীনের পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেই। কিন্তু প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানিয়ে উল্টো টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হুমকি দেয় তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি আমার ওয়ার্ডের চৌকিদারের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারি। এই বিষয়ে সামাজিকভাবে দুই পক্ষের একটি সালিশী বৈঠক হয়েছিল। পরে ভুক্তভোগী পরিবার কোর্টে মামলা করেছে।

নাপোড়া-শেখেরখীল উচ্চ-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী আমাদের স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এ বিষয়ে প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা পিবিআই কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন