সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ইরাকিরা

সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ইরাকিরা

দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং সরকারি নিম্নমানের সেবার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের পর প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন ইরাকিরা। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে শুরু হওয়া এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানানো হচ্ছে।

আগামী বছর দেশটির পার্লামেন্টের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দুই বছর আগে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে শত শত মানুষের প্রাণহানির কারণে ছয় মাস এগিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এবারের এই নির্বাচনে দলীয় তালিকাভিত্তিক পুরোনো নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাহায্য করার জন্য পরিবর্তন আনা হয়েছে। যদিও দেশটির প্রধান শিয়া মুসলিম রাজনৈতিক গোষ্ঠী এই নির্বাচনী সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেতে পারে বলে পূর্বাভাষ দেওয়া হচ্ছে।

২০০৩ সালে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর ইরাক আক্রমণের পর থেকে দেশটির পার্লামেন্টে শিয়া মুসলিমদের আধিপত্য রয়েছে। মার্কিন হামলায় দেশটির তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইন নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে।

২০১৯ সালে দেশটির ক্ষমতাসীন অভিজাত শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন হলেও এবারের নির্বাচনে তারাই জয়ী হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরাকি কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকের আগাম এই নির্বাচনে মধ্যপ্রাচ্য কিংবা দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তেমন কোনও পরিবর্তন আনতে পারবে না। তবে অনেক ইরাকি এই নির্বাচন নিয়ে আশাপ্রকাশ করেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, রাজধানী বাগদাদের সদর সিটির একটি মেয়েদের স্কুলে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে ভোটারদের ধীরগতির উপস্থিতি দেখা গেছে।

নির্বাচনী স্বেচ্ছাসেবক হামিদ মজিদ (২৪) বলেন, তিনি তার পুরোনো স্কুলের শিক্ষককে ভোট দিয়েছেন; যিনি শিয়া ধর্মীয় নেতা মোক্তাদা আল-সদরের অনুসারী। ইরাকে বিদেশিদের প্রভাব বিস্তারের বিরোধী মোক্তাদা আল-সদর। একই সঙ্গে ইরাকের ইরানপন্থি শিয়া গোষ্ঠীগুলোরও বিরোধী তিনি।

মজিদ বলেন, তিনি আমাদের এলাকায় অনেককে শিক্ষিত করেছেন; তাই সব তরুণরা তাকে ভোট দিচ্ছে। এটি সদরপন্থীদের আন্দোলনের সময়। জনগণ তাদের সঙ্গে আছে।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, পার্লামেন্টের ৩২৯ আসনের বিপরীতে ১৬৭টি রাজনৈতিক দলের ৩ হাজার ২০০ জনেরও বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাধিমি এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তবে ভোটের পর আলোচনায় তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে দেখা যেতে পারে। পশ্চিমাদের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন কাধিমির নিজের কোনও রাজনৈতিক দল নেই।

আপনি আরও পড়তে পারেন