অর্থ নেই, কাবুলের এতিমখানার শিশুদের খাবারে টান

অর্থ নেই, কাবুলের এতিমখানার শিশুদের খাবারে টান

গত আগস্ট মাসে কাবুলের ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান গোষ্ঠী। এরপর থেকেই প্রায় পুরো বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আফগানিস্তান। যেকোনো সময় সৃষ্টি হতে পারে মানবিক সংকটের। এই পরিস্থিতিতে বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে পড়েছে কাবুলের বিভিন্ন এতিমখানায় বসবাসকারী এতিম শিশুরা।

টাকার অভাবে এসব শিশুদের খাবার কমিয়ে দিচ্ছে এতিমখানা কর্তৃপক্ষগুলো। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

কাবুলের একটি বৃহৎ এতিমখানার প্রোগ্রাম ডিরেক্টর আহমেদ খলিল মায়ান রয়টার্সকে জানান, তাদের হাতে থাকা অর্থের পরিমাণ ক্রমেই কমছে। আর তাই প্রতি সপ্তাহে এতিম শিশুদের খাবার তালিকায় থাকা মাংস ও ফলের পরিমাণ তারা কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

আহমেদ খলিল মায়ানের এই এতিমখানাটির নাম শামসা চিলড্রেন’স ভিলেজ। আফগান রাজধানী কাবুলের উত্তরে বিস্তৃত জায়গায় এটি অবস্থিত।

গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে প্রায় পুরো আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় গোষ্ঠীটি। কিন্তু তালেবান ক্ষমতায় আসায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও এর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থা আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তাসহ অর্থ সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়।

আহমেদ খলিল বলছেন, হাতের অর্থ ফুরিয়ে আসায় গত প্রায় দুই মাস ধরে প্রয়োজনীয় তহবিল পাঠানোর জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করেছেন তিনি। এসব সংস্থার সবগুলোই আগে তার এতিমখানায় সহায়তা দিতো।

৪০ বছর বয়সী মায়ান রয়টার্সকে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে আফগান দাতা সংস্থা, বিদেশি দাতা সংস্থা এবং দূতাবাসগুলো থেকে সবাই আমাদের দেশ ছেড়ে চলে গেছে। আমি যখন অর্থের জন্য বার বার তাদেরকে কল করছি বা ইমেইল করছি, তখন তাদের কেউই আমার ফোন রিসিভ করেননি বা ইমেইলের উত্তরও দেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘খুবই অল্প পরিমাণ টাকা ও খাদ্য নিয়ে এখন আমরা এই এতিমখানাটি চালানোর চেষ্টা করছি।’

রয়টার্স বলছে, তিন বছর থেকে শুরু করে এর বেশি বয়সী প্রায় ১৩০ জন শিশু এই এতিমখানায় বসবাস করে। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় ধরে এতিমখানটি চালু রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন