খাদ্য সংকটের তীব্রতা বাড়ছে উত্তর কোরিয়ায়

খাদ্য সংকটের তীব্রতা বাড়ছে উত্তর কোরিয়ায়

উত্তর কোরিয়ায় খাদ্য সংকটের তীব্রতা বাড়ছে।  শীত যত ঘনিয়ে আসছে দেশটিতে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ততোই বাড়ছে। উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিরা এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রকাশিত ডেইলি এনকের প্রধান সম্পাদক লি সাং ইয়োং বলেছেন, ‘আরও অনাথ শিশুর সড়কে আশ্রয় নেওয়ার এবং ক্ষুধায় মৃত্যুর মতো সমস্যাগুলোর সংবাদ প্রতিনিয়ত আসছে। উত্তর কোরিয়ার নিম্নবিত্তের মানুষেরা অনেক বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।’

সরকারের কড়াকড়ির কারণে উত্তর কোরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংবাদ পাওয়া বেশ মুশকিল। চীন থেকে করোনার বিস্তার ঠেকাতে গত জানুয়ারি থেকে দেশটির সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা তাদের স্বজনদের কাছ থেকেও খুব একটা তথ্য পাচ্ছেন না। দেশটির যে কোনো  নাগরিকের কাছ থেকে অননুমোদিত মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তাকে শাস্তি হিসেবে শ্রম শিবিরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ পলাতক স্বজনদের কাছে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে থাকেন।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার পর উত্তর কোরিয়ায় প্রায়ই খাদ্য সংকট দেখা দেয়। তবে করোনা মহামারির পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হচ্ছে। দেশটির শীর্ষনেতা কিম জং উন পরিস্থিতিকে ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। ওই সময় দুর্ভিক্ষে দেশটিতে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

চলতি বছর উত্তর কোরিয়ায় চাষাবাদ ভালো হয়নি। গত বছর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ফসল উৎপাদন ব্যহত হয়েছিল। জাতিসংঘের হিসেবে, দেশটিতে দুই থেকে তিন মাসের খাদ্যঘাটতি রয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন