ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রূপগঞ্জ

ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রূপগঞ্জ

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ

 

পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিকের দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে। একজন আরেকজনকে ঘায়েল করতে মরিয়া। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিল রফিকুল ইসলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকে এমপি হওয়ার পর মন্ত্রীও হয়ে যান গোলাম দস্তগীর গাজী। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার পর দাপট বাড়লেও রফিকের সাথে পেড়ে উঠছিল না গাজী। বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করেও রফিককে ধমাতে পারেনি। সর্বশেষ রফিকের ভাই কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক চাইলে গাজী নৌকা প্রতীক পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন জাহেদ আলীকে। তাই রফিকের ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। নিয়ে প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই গাজী ও রফিক অনুসারিদের মধ্যে একের পর এক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সর্বশেষ মন্ত্রী গাজী দাপট দেখিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৫ নেতাকে বহিষ্কার করান। বহিস্কৃত নেতারা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য খন্দকার আবুল বাশার টুকু, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছামছুল আলম, করিম পাঠান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ইয়ার হোসেন, ১নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি আমিন বেপারী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জলিল মিয়া, ৪নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের সহ সভাপতি আলাউদ্দিন, ৭নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, সদস্য আনার উদ্দিন, মমিনুল হক ও ৯নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ সভাপতি ছামছুল হক। তবে ১৫জন নেতাকে বহিষ্কার ইস্যুতে রূপগঞ্জ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই উত্তাপ যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষে রূপ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও যে কোন প্রকার সহিংসতা রোধে রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশ তৎপর রয়েছেন। ইতিমধ্যে রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা যৌথ বাহিনী মহড়া দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি কতক্ষণ নিয়ন্ত্রনে থাকবে তা বলাটা অনিশ্চিত। অভিযোগে রয়েছে, একজন মন্ত্রী হলেও শুধুমাত্র রূপগঞ্জ এলাকায় একক আধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। এমনকি একজন মন্ত্রী হয়েও রূপগঞ্জ আওয়ামীলীগের সভাপতি পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। মূলত রূপগঞ্জ আওয়ামীলীে একক আধিপত্য ধরে রাখতে তিনি সভাপতি পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন। তবে তার একক আধিপত্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন