ইউপি সদস্য সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারী ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ

ইউপি সদস্য সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারী ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ
সুদিপ্ত সালাম, হরিনাকুন্ডু প্রতিনিধি।
সরকার দরিদ্র অসহায় মানুষের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছে। আর এই ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তাহেরহুদা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার সাব্বির হোসেন তার ওয়ার্ডের  দরিদ্র অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
জানা যায়  ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার ৩ নং তাহেরহুদা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সাব্বির হোসেন একই ওয়ার্ডের নুন্যতম দশ জন ব্যক্তিকে সরকারী ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে তাদের নিকট হতে প্রতারনাপূর্বক মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় দুই বছর আগে। মেম্বার তাদের ঘর ও টাকা কিছুই দেয়নি। উল্টো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়ার পর থেকেই মেম্বার তাদের হয়রানি করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের সরকারী পাকা ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে সাব্বির হোসেন তাহেরহুদা গ্রামের জামিরুল ইসলামের নিকট হতে ২২ হাজার টাকা, নবিছদ্দিনের স্ত্রী চম্পা খাতুনের নিকট হতে ২৫ হাজার টাকা, মজনু মন্ডলের পুত্র বছিরের নিকট হতে ২৮ হাজার টাকাসহ আরো নূন্যতম সাত/আট জনের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা প্রতারণাপূর্বক নিয়ে আত্মসাত করেছেন।
ভুক্তভোগী চম্পা খাতুন বলেন, সাব্বির মেম্বার একটি নতুন ঘর দেবে বলে আমার নিকট থেকে ৩ বছর আগে ২৫ হাজার টাকা নিয়েছিলো। একটি পাকা ঘর পাওয়ার আশায় আমি গরু বিক্রি করে মেম্বারকে টাকাটা দিই। কিন্তু আমার কপালে সরকারী ঘর জোটেনি। দফায় দফায় ঘোরানোর পর মেম্বার কিছু টাকা ফেরত দিলেও পুরা টাকা আজো ফেরত পায়নি।
আরেক ভুক্তভোগী জামিরুল ইসলাম বলেন, সাব্বির মেম্বার আমাকে সরকারী ঘর দেওয়ার কথা বলে ২২ হাজার টাকা নিয়েছিলো। আমাকে ঘরও দেয়নি,টাকাও ফেরত দেয়নি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন লাভ হয়নি,তিনি কোন সুরাহা করে দেননি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সাব্বির হোসেন বলেন, আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেয়নি। সবাই মিথ্যা কথা বলছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

আপনি আরও পড়তে পারেন