নারী শিক্ষায় দেশের অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, নারীদের আমরা জোয়ারের মতো টেনে তুলছি।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দি হাঙ্গার প্রকল্পের ৩০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিকশিত নারী কংগ্রেসের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে ভার্চুায়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সততার সঙ্গে বলতে চাই। তথাকথিত উন্নয়নমূলক দেশেও নারীর বঞ্চনা আছে। ওইসব দেশে নারীর প্রতি মধ্য যুগীয় আচরণ করা হয়। আমাদের দেশে নারী উন্নয়নে নানা উদ্যোগ চলমান। আর্থিক স্বচ্ছতা থাকলে নারীর প্রতি বঞ্চনা আরও কমে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে শত শত নারী নেতৃত্ব গড়ে উঠছে। অনেক নারী চেয়ারম্যান হচ্ছেন নির্বাচনের মাধ্যমে। উপজেলায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন। চাকরি ও পেশায় নারীর জন্য আসন সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নারীর প্রতি যত্নশীল। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নারীর সিট কতো এটারও খোঁজ রাখেন তিনি। শিক্ষার ক্ষেত্রে নারী জোয়ারের মতো আসছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, উঁচু আসনে বসে বলা হয়, এটা করো, ওটা করো। দেশে এটা হয় ওটা হচ্ছে। আমরা এসব কথা মানব না। কেউ ছোট করলে প্রতিরোধ করব। আমাদের ছোট করে কেউ কথা বললে মানব না। আমরা কথা নয় কাজে বিশ্বাসী। নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় আছে তারা নারীর জন্য কাজ করছে।
প্রকল্পে নারীর প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়া হয় উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, নারী উন্নয়নের প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রতি প্রকল্পে নারী নানা পরিসরে সুফল ভোগ করেন। নানা খাতের মাধ্যমে নারীকে সামনে আনার চেষ্টা করি।
হাঙ্গার প্রকল্পের পরিচালক নাসিমা আক্তার জলি বলেন, ৩০ বছর পার করেছি হাঙ্গার প্রকল্পের কার্যক্রম। আমরা সামনের দিকে পথ চলছি। আমাদের সংগ্রাম চলছে। আত্ম শক্তিতে বলিয়ান নারী কখনো পিছিয়ে থাকতে পারে না। এজন্য নারী ও কন্যা শিশুর সুরক্ষার নিশ্চিত করতে হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারীর প্রতি অবহেলা রয়েছে। কন্যা সন্তানের প্রতি অবহেলা রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। আমাদের সকলের অঙ্গীকার নারী ও কন্যা শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। সবাইকে এটা সফল করার দায়িত্ব নিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন।