ডেমরায় যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ডেমরায় যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সালে আহমেদ,ডেমরাঃ
রাজধানীর ডেমরায় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় মিন্টু (৪৫) নামে এক কাপড়ের ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকালে ঢাকার শেরে বাংলানগর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্স ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত গোষণা করেন।  এর আগে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মিটফোর্ড স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। গত (২২ ডিসেম্বর) বুধবার রাতে ডেমরার বড়ভাঙ্গা এলাকায় স্থানীয় মোহাম্মদ আলী গ্রুপের সন্ত্রাসীরা মিন্টুকে লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গত ২৩ ডিসেম্বর ডেমরা থানায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী গ্রুপের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করেছিলেন মিন্টু। কিন্তু এ ঘটনায় ওই দিন থানা পুলিশের কোন সহযোগীতা পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার সকালে ডেমরা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন। নিহত মিন্টু ডেমরার দক্ষিণ টেংরা আমতলা এলাকার মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তার মৃত্যুতে এলাকায় খুনি ও সন্ত্রাসীদের  বিরুদ্ধে  মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।নিহত মিন্টু সাবেক সারুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহাম্মদ আলী গ্রুপের সন্ত্রাসীরা বড়ভাঙ্গার কাঁচামাল ব্যবসায়ীরাসহ মার্কেটের প্রায় ১৫০ দোকান থেকে দুই হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করেন। এ সময় বড়ভাঙ্গা বাজার কমিটির আহবায়ক  বেলায়েত হোসেন খসরু প্রতিবাদ জানালে ওই এলাকার মনজু (৩০), মনির হোসেন (৩৮), শাওন (২৫) ও রেদওয়ান মনজুসহ (৩০) অজ্ঞাত ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী তাকে ও আরেক কাঁচামাল ব্যবসায়ী শহীদকে মারধর শুরু করে। এ সময় ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে চলা সংঘর্ষের মধ্যে খসরুকে বাঁচাতে এদিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা মিন্টুর মাথা ও চোখসহ সারা শরীরে মারধর করে। তবে ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীরা পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মিন্টু থানায় জিডি করেছিলেন। শনিবার তার অবস্থার অবনতি হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে মৃতের পরিবার মামলা দিতে চাইলে মামলা নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন