আত্রাইয়ে সিজারিয়ান অপারেশন চালু; স্বস্তিতে এলাকাবাসী

আত্রাইয়ে সিজারিয়ান অপারেশন চালু; স্বস্তিতে এলাকাবাসী

নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ সময় পর সিজারিয়ান অপারেশন চালু হয়েছে। দুই প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এ সেবা চালু হলো বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রোকসানা হ্যাপি। এ খবর প্রচার হবার সাথে সাথে আত্রাইবাসীর মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আশির দশকে ৩১ শয্যা নিয়ে হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলে ২০০০ সালে প্রসূতি সেবা চালু করা হয়। অবকাঠামোগত সকল সুযোগ সুবিধা থাকার পর অ্যানেস্থেসিয়া ও গাইনি চিকিৎসকের অভাবে গত পাঁচ বছর সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। তবে নরমাল (স্বাভাবিক) প্রসব চালু ছিল। গত বছরের নভেম্বর মাসে ৪১টি, অক্টোবর মাসে ৩৫টি এবং সেপ্টেম্বর মাসে ৩৩টি নরমাল প্রসব হয়েছে বলে জানা গেছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হিসেবে ডা. রোকসানা হ্যাপী যোগদান করেন । যোগদানের পর থেকে চিকিৎসা সেবার মান, ভায়া টেষ্ট চালু, হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়ন করার চেষ্টার পাশাপাশি সপ্তাহে দু’দিন সোম ও বুধবার সিজারিয়ান অপারেশনের দিন নির্ধারণ করলেন তিনি।

জেলা শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দক্ষিনে অবিস্থত আত্রাই উপজেলা। সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে উপজেলাবাসীকে। সরকারি সেবার জন্য এ সময়ে উপজেলাবাসীকে নওগাঁ- নাটোর অথবা রাজশাহী হাসপাতালে যেতে হতো। বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হতো।

আত্রাই উপজেলা সদরে সাতটি বেসরকারি ক্লিনিক আছে। যার পাঁচটিতে সিজারিয়ান অপারেশন হয়। বেসরকারি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনে ৮-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়া দালালদের খপ্পরে পড়ে অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হতো রোগীদের।

ভরতেতুলিয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রী রিপন সিজারিয়ান অপারেশন করে দ্বিতীয় ছেলের বাবা হয়েছেন। তিনি জানান, স্ত্রীর আল্ট্রাসনো করা হয়েছিল। এক সপ্তাহ পার হলেও ব্যথা না ওঠায় হাসপাতালে ভর্তি করলে গতকাল ১১টার দিকে সিজার করে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কোনো টাকা-পয়সা না লাগায় আমার মতো গরিবের জন্য খুবই সুবিধা হয়েছে।

আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রোকসানা হ্যাপী বলেন, অপারেশনের সকল সরঞ্জাম থাকার পরও অ্যানেস্থেসিয়া ও গাইনি চিকিৎসক না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছিল। সপ্তাহে দু’দিনের জন্য অ্যানেস্থেসিয়া ডাক্তার পেয়ে সিজারিয়ান অপারেশন চালু করলাম। গাইনি ডাক্তার যোগদান করলে সেবার মান আরো বেড়ে যাবে।

(ছবি আছে)
আত্রাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগুচ্ছে

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর আত্রাইয়ে দ্রুত এগিয়ে চলেছে আশ্রয়ন প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের কাজ। গৃহহীনদের গৃহের অভাব লাঘবে এবং তাদের মুখে হাঁসি ফোটাতে “আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার” প্রকল্প গ্রহণ করে দেশের সকল ভূমি ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ইউএনও অফিস জানায়, উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে সরকারের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জমিতে ১৬টি ঘড় নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম এর তত্তাবধানে ইতোপূর্বে জনপ্রতিনিধি, ভূমি, প্রকৌশলী এবং প্রকল্প অফিসের সমন্বয়ে স্থান নির্বাচন করা হয়।

সরেজমিনে জানা যায়, ভূমি ও গৃহহীনদের মর্যাদার সাথে বসবাসের লক্ষে কয়রা নামক স্থানে ১৬টি ঘড় তৈরীর কাজ চলছে । প্রতি পরিবারের জন্য দুই শতক যাইগার উপর দুটি চৌচালা বিশিষ্ট ইটের দেয়াল এবং পাকা মেঝের কাজ চলমান। এছারা রঙ্গিন টিনের ঘড়ে দুটি করে প্লেন শীটের জানালা- দরজা, ঘড় সংলগ্ন বারান্দা এবং রান্না ঘড় ও টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি বাসগৃহে দুইলক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। কাজ শেষে আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই অন্তে উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা ভূমি এবং গৃহহীনদের মাঝে ঘর বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতিপূর্বে উপজেলায় ১৮৫ ঘর নির্মাণ করে সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে করোনা মহামারির মধ্যেও তৃতীয় ধাপে ১৬টি অসহায় পরিবারের স্বপ্নের ঠিকানা তৈরীর কাজ চলছে। সরকারের এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও বাসগৃহহীন শুন্যের কোঠায় আনা।

আপনি আরও পড়তে পারেন