কৃষি যন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ কোদাল।

কৃষি যন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ কোদাল।
মাহফুজ রাজা,জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ;
আষ্টো আঙ্গুল কোদাল খানা,ষোলো আঙ্গুল ডাঁটি,
সেই কোদালে কাটিয়া তুলে আপন ঘরের মাটি।
কন্ঠ শিল্পি সাজ্জাদ নুর এমনই গানে মাতিয়ে ছিলেন
বাংলাদেশ তথা বিশ্ব।মুসলিম নর-নারীর অন্তত শেষ বিদায়ে হলেও কোদালের সাথে রয়েছে সুসম্পর্ক কেননা কবর খননে প্রয়োজনীয় বস্তু কোদাল।
পৃথিবীর মোহ- মায়া সকল কিছু আনন্দ বিলাশের একদিন পরিসমাপ্তি হবে।আর মুসলিমদের চির স্থায়ী ঘরটা কোদালের সংস্পর্শেই তৈরি।
কোদাল বা কোদালি হচ্ছে হস্তচালিত এমন একটি যন্ত্র, যা দিয়ে মাটি খনন ও তোলা যায়। বাংলাদেশের সর্বত্রই দেখা যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই যন্ত্রটি গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই আছে।
কোদালের দুটি অংশ। মাটি কাটার জন্য ইস্পাত বা লোহার একটি ফলা এবং ধরার জন্য একটি কাঠের বা বাঁশের হাতল। কোদালের ফলার সামনের অংশ ছড়ানো এবং তুলনামূলক পাতলা ও ধারালো থাকে, অনেকটা বেলচার মতো। পেছনের অংশ ভারী ও চ্যাপ্টা প্রকৃতির এবং রিংয়ের মতো একটা অংশ থাকে। ফলার এই রিংয়ের ভেতর দিয়েই কোদালের হাতলের কাঠ বা বাঁশ প্রবেশ করানো হয় এবং এমনভাবে আটকানো হয়, যাতে হাতল ও ফলা একে অপরের সঙ্গে শক্তভাবে লেগে থাকে। কোদালের হাতল আড়াই হাতের মতো লম্বা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কোদাল দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে কামার ও শহরাঞ্চলে ছোট কারখানাগুলো কোদাল তৈরি করে।
 কৃষকরা বীজতলা তৈরি, আগাছা দমন, মাটি কাটা ও সরানো, বাঁধ নির্মাণ বা খাল খনন এবং অন্যান্য গৃহস্থালির কাজে কোদাল ব্যবহার করে। ফলার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও পুরুত্ব যথাক্রমে ২৫-৩০, ২০-২৫ ও ১-৩ সেন্টিমিটার এবং ওজন ২-৩.২৫ কেজি। দেশি লাঙলে চাষ অসাধ্য খণ্ড জমিতে কোদাল ব্যবহৃত হয়।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে বহুল ব্যবহ্রিত এবং আলোচিত একটি কৃষি সরঞ্জাম।
৯/০১/২২(রবিবার) সকালে দেখা হয়, পলাশের সাথে তিনি একজন কৃষক কোদাল কাঁধে নিয়ে মাঠে যাচ্ছেন কাজ করতে, বোরো ক্ষেত পাওয়ার টিলার মারফত  চাষ করেছেন এখন কোদাল দিয়ে জমি সমান করবেন।
উপজেলার শাহেদল ইউনিয়নের বাবু মিয়া, বিশ্বনাথ পুরের জাকির,টান সিদলার বিল্লাল হোসেন বিপ্লব,হারেঞ্জার ইমরুল কায়েস, চর হাজীপুরের মাসুদ জানান,কোদাল কৃষি যন্ত্রপাতির একটা অবিচ্ছেদ্য পার্ট।

আপনি আরও পড়তে পারেন