শেখ শফিউল আলম লুলু,ঝিনাইদহ;
ঝিনাইদহে তীব্র শীতে জমে উঠেছে । ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে নি¤œ আয়ের মানুষের ভিড়। ঝিনাইদহ জেলার ৬টি উপজেলার হাটবাজার গুলোতে পৌষের শেষ মাঘের শুরু থেকেই দেশের উপর দিয়ে বয়ে চলা মাঝারী শৈত্য প্রবাহ আর কনকনে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথেই নি¤œবিত্ত পরিবারগুলো ভিড় জমাচেছ গরীবের মার্কেট ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এবারের শীতে ঝিনাইদহের ফুটপাতের দোকান গুলোতে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা। শহরের পাশাপাশি গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারের ফুটপাত ছোট বড় বস্ত্র দোকানী সকলেই পূর্বের মজুদ পোশাক ও নতুন পোষাকের চালান নিয়ে ব্যস্ত। শীতকে কেন্দ্র করে জেলা শহরে বিভিন্ন এলাকায় অনন্ত ১৫ থেকে ২০টি মৌসুমী গরম কাপড়ের দোকান গড়ে ওঠেছে। এসব দোকানে নি¤œবিত্ত বিশেষ করে দিন মজুর পরিবারগুলোর পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও ভিড় করছে পছন্দের পুরাতন গরম কাপড় কেনার জন্য। অগ্রহায়নের শেষে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। সন্ধ্যার পর থেকেই ঘনো কুয়াশায় আছন্ন হয়ে পড়ছে এলাকায়। কুয়াশার সাথে শুরু হচ্ছে হাঁড় কাঁপানো বাতাস। এত নি¤œ আয়ের পরিবার গুলো কাহিল হয়ে পড়ছে। শহরের সরকারি ভাবে শীত বস্ত্র বিতরণ হলেও গ্রাম পর্যায়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কিংবা বেসরকারি পর্যায়ে কেউই হতদরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেনি। শীতের কারণে শুরু হয়েছে ঠান্ডার জনিত বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই। এতে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। জেলা শহরের নামিদামী বিপনী বিতানগুলোতে গরম কাপড় কেনার সামর্থ না থাকার বি¤œবিত্ত পরিবারের লোকজন ভিড় করছে জেলা শহরের পায়রা চত্বর, হাটের রাস্তা, চুয়াডাঙ্গা বাস ষ্টান্ড, সরকারি কেসি কলেজের পূর্ব পার্শ্বে, আরাপপুর,সহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে গড়ে ওঠেছে পুরোনো গরম কাপড়ের দোকান। এসব ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। সবাই যেন মনের আনন্দে কিনছে পছন্দের পুরোনো শীতের পোশাক। স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোর্ট, প্যান্ট, পায়ের মোজা, হাতের মোজা, কানটুপিসহ বিভিন্ন প্রকার শীতবস্ত্র। শহরের অটোরিকসা চালক মিন্টু, টোকন, কবির ক্ষেতমুজুর জামিরুল ও আজিজুল বলেন, ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩শত টাকার মধ্যেই মোটামুটি ভালো মানের শীতের পোষাক কেনা যাচ্ছে ।