শাল্লায় ইউএনও অফিস এর সহায়ক কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছিত

শাল্লায় ইউএনও অফিস এর সহায়ক কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছিত
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর  ( সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ
শাল্লায় ইউএনও অফিস এর সহায়ক কর্তৃক সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস লাঞ্ছিত হয়েছেন।তিনি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় শাল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ পত্র ও স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, দৈনিক জনবানী পত্রিকার সুনামগঞ্জের  শাল্লা উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স  অয়ন্তী এন্টারপ্রাইজ মুজিববর্ষ উপলক্ষে শাল্লা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান বৃন্দের উপস্থিতিতে মৌখিক চুক্তিপত্রের মাধ্যমে আশ্রয়ন প্রকল্প -২ এ ইট ও বালু সহ বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ করেন।সরবরাহকৃত মালামাল এর ৪৭ লাখ টাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন এর নিকট বাদল চন্দ্র দাস এর পাওনা রয়েছে। এই টাকা পরিশোধে ইউএনও দীর্ঘদিন ধরে  টালবাহানা করে আসছিলেন। এবিষটি সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস লিখিত ভাবে জেলা প্রশাসক সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করেন। কিন্তু পাওনা টাকা না পেয়ে  সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস সর্বশেষ বিভাগীয় কমিশনার এর নিকট ইউএনও আল মোক্তাদির হোসেন এর বিরুদ্ধে  লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরই পরিপেক্ষিতে ইউএনও বিষন ক্ষিপ্ত হন সাংবাদিক বাদল এর উপর। এরপরই ইউএনও এর নির্দেশে ১৯ শে জানুয়ারী রোজ
বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলা সদরের ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস ব্যবসায়ী নাঈমের দোকানে বসা থাকা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিস এর সহায়ক সুব্রত কুমার দাস এসে লাঠিসোটা নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় । এতে তিনি গুরুতর আহত হন।হামলার খবর পেয়ে  উপজেলার সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাসকে উদ্ধার করে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।সুব্রত কুমার দাস শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের সুখলাইন গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র দাসের ছেলে। এ ঘটনায় সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস নিজে বাদি হয়ে সদ্য স্ট্যান্ড রিলিজ হওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন ও হামলাকারী সুব্রত কুমার দাসকে অভিযুক্ত করে শাল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়  একাধিক ব্যক্তি বলেন, সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস এর অফিস সহায়ক সুব্রত কুমার দাস। এর সুষ্ঠু বিচার হওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে আহত সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাস বলেন, পুর্বপরিকল্পিত ভাবে ইউএনও আল মুক্তাদিরের নির্দেশে তার অফিস সহায়ক সুব্রত কুমার দাস আমার উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। সে হামলার সময় ইউএনও’র বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রাদি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (বর্তমানেও এলাকায় অবস্থানরত) আল মুক্তাদির হোসেন বলেন, ঘটনার কিছুই আমি জানি না। এই ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এদিকে ঘটনার পর থেকে অফিস সহকারী সুব্রত কুমার দাসের মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, নানা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদিরকে গত ১৩জানুয়ারি প্রত্যাহার করে তৎস্থলে দিরাই উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) অরূপ রতন সিংহকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন