নওগাঁয় স্কুলের নাম ভাঙ্গিয়ে সংখ্যালঘুর জমি জবরদখলের পাঁয়তারা!

নওগাঁয় স্কুলের নাম ভাঙ্গিয়ে সংখ্যালঘুরজমি জবরদখলের পাঁয়তারা!

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁয় সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ি ইউনিয়নের কাঠখৈর গ্রামে স্থানীয় স্কুলের নাম ভাঙ্গিয়ে এক সংখ্যালঘুর ফসলী জমি জবরদখলের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আল হেলাল ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। আবার স্কুলের নাম ভাঙ্গাতে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতা-কর্মীও ব্যক্তিমালিকানাধীন ওই জমি জবরদখলে উঠে-পড়ে লেগেছে। এবিষয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেও কোন সুরাহা মেলেনি। এতে করে ওই সংখ্যালঘু পরিবারকে প্রতিপক্ষরা হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ওই গ্রামের সংখ্যালঘু স্বপন চন্দ্র প্রামানিক ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত হয়ে বংশানুক্রমিকভাবে অন্তত শতাধিক বছর ধরে জমিটি ভোগদখল করে আসছে। সেই রেকর্ডমুলে ১৯৬৯ সালে কাটখৈর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ১৯২০ সালের নকশা ও খতিয়ান অনুযায়ী ৮১৯ নং দাগে ৩৫ শতক কাতে ৮ শতক দান করেন। দাগের উত্তর পাশ থেকে স্কুল সংলগ্ন অংশ কাটখৈর সরকারী প্রাথমিক স্কুলকে বুঝিয়ে দেন এবং অবশিষ্ট কাটখৈর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ শতক ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু রাস্তা নির্মানে কাটখৈর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ শতাংশের মধ্যে ০৮ শতাংশ এবং স্বপনের ০১ শতক জমি রাস্তার মধ্যে পড়ে যায়। এছাড়া এখন পর্যন্ত তাদের  ০২ শতক জমি কাটখৈর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোগদখলেই রয়েছে।

উক্ত দাগ ছাড়াও ১৯২০ সালের খতিয়ান নং ২৫৮, দাগ নং ৮০৪ (পুকুর পাড়) ৮০৫ (পুকুর) এই পুকুর পাড় কেটে বর্তমানে যে পাকা রাস্তা তৈরী করা হয়, সেটি রেকর্ডভুক্ত কোন রাস্তা নয়। ১৯৭২ সালে রেকর্ডীয় পুকুর পাড় হতে এক দাগের দক্ষিণে অবস্থিত যার কোন চিহ্ন বা দৃশ্যমান কোন অস্তিত্ব নাই।

উল্লেখ্য এই দাগের সঙ্গে সংলগ্ন ১২৬০ নং দাগটি কাটখৈর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। ১৯৭২ সালের খতিয়ান নং ৫৪৮ এর দাগ নং ১২৬৪ (ধানী) ১ শতক জমি মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত উক্ত জমিগুলোতে বর্তমানে কাটখৈর বাজার সম্প্রসারন ও উন্নয়ন হওয়ায় স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির লোলুপ দৃষ্টিতে পড়ে যায়। এরমধ্যে অন্যতম হলো ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আল হেলাল।  উল্লেখিত জমিগুলোতে বৈধ উপায়ে জমির মালিক স্থাপনা তৈরী করতে গেলে উক্ত প্রধান শিক্ষ আল হেলাল বাধা প্রদান করে এবং পরিবার পরিজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়।  ফলে সংখ্যালঘু স্বপন এবং তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।

আপনি আরও পড়তে পারেন