ছাতকে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়ম, জনগণের ভোগান্তি

ছাতকে কালভার্ট নির্মাণে অনিয়ম, জনগণের ভোগান্তি
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিকল্প রাস্তা নির্মাণ না করে জালালপুর – লামা রসুলগঞ্জ সড়কের সংযোগ স্থাপনকারী ছাতক এর জালালপুর পয়েন্ট এলাকায় রত্না নদীর উপর কালভার্ট ভেঙে ফেলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আলী আকবর। এতে ভোগান্তীর শিকার হয়ে পড়েছেন এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী জনসাধারণ। স্থানীয়দের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আজ ৪ ঠা ফেব্রুয়ারী রোজ শুক্রবার বেলা ৩ ঘটিকার সময় সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় ও জানাযায়, সুনামগঞ্জ -সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক এর ছাতক উপজেলাধীন জালালপুর – দোলারবাজার-লাম রসুলগঞ্জ সড়কের সংযোগ স্থাপনকারী জালালপুর পয়েন্ট এলাকায় রত্না নদীর উপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (ডিডিএম) এর বাস্তবায়নে  প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায় সাপেক্ষে নতুন কালভার্ট নির্মাণ সহ ১০ কিলোমিটার সড়কে আরসিসি কাজ এর টেন্ডার সম্প্রতি পেয়েছে “মেসার্স আলী আকবর” নামধারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই কালভার্ট এর পাশ দিয়ে যানবাহন কিংবা পথচারীদের জন্য বিকল্প রাস্তা নির্মাণ না করেই প্রায় দুই সপ্তাহ আগ থেকে কালভার্টটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে কালভার্টের পাশ দিয়ে নদীর উপর দিয়ে  কাদা পানি মারিয়ে চলাচল করছেন জনসাধারণ। নদী পারাপারে উঁচু থেকে নীচে নামতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে রোগাক্রান্ত মানুষকে নিয়ে যাতায়াতে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। এমনিতেই ঘনকুয়াশা আর ঘুড়ি ঘুড়ি বৃষ্টিতে নদীর তলদেশ আর পাড় পিচ্চিল। এই সড়কপথে জগন্নাথপুর উপজেলার পূর্বাঞ্চল সহ ছাতক উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে যানবাহন ও পায়ে হেঁটে চলাচল করেন প্রতিনিয়ত। এনিয়ে জনমনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এর লোকজন এর সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বাধতে পারে। বিধায় জনস্বার্থে  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্ট কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে একান্ত আলাপকালে এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াতকারী কটাপুর গ্রাম নিবাসী মোঃ আছির উদ্দীন, মল্লিকপুর গ্রাম নিবাসী মোঃ আব্দুল জব্বার, লামারসুলগঞ্জ নিবাসী মোঃ তাহিদ আলী ও মন্ডলপুর গ্রাম নিবাসী মোঃ সোনাওয়ার মিয়া সহ স্থানীয়  একাধিক ব্যক্তি তাদের অভিপ্রায় ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, যানবাহন সহ পায়ে হেঁটে চলাচল এর জন্য  বিকল্প কোন রাস্তা নির্মাণ না করেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কালভার্ড ভেঙ্গে ফেলায় মানুষের চলাচলে মারাত্বক ব্যাঘাতের সৃষ্টি হয়েছে । বৃষ্টি নামা শুরু হলে রত্না নদী নামের ওই খাল পাড়ি দিয়ে মানুষ পায়ে হেটে চলাচলে চরম দূর্ভোগ পুহাতে হবে। অসুস্থ একজন রোগি নিয়ে ওই পথে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মানুষ চলাচলের জন্য  বিকল্প রাস্তা তৈরি করার জোর দাবী জানাচ্ছি। এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল জব্বার ও আছির উদ্দীন আরো বলেন, আমরা নাকি চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। এর একটা সুরাহা চাই।
এবিষয়ে  ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী( এলজিইডি) আবুল মনসুর মিয়া বলেন , প্রায় ৬কোটি টাকা ব্যয়ে  আরসিসিসহ ১০ কিলোমিটার সড়কের কাজ পেয়েছে  মেসার্স আকবর আলী নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। জালালপুরের কালভার্ড ভাঙ্গার আগে বিকল্প রাস্তা তৈরি করার কথা রয়েছে। যাতে মোটরসাইকেল, রিক্সাসহ ছোট যানবাহন পারাপার হতে পারে। তিনি আরও বলেন দুই মাসের মধ্যে এ কালভার্ডটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে। বিকল্প রাস্তা নির্মাণ এর জন্য বলব।

আপনি আরও পড়তে পারেন