প্রেমিকাকে ফেলে পালাতে চেয়েছিল প্রেমিক, ধুমধাম করে বিয়ে দিল পুলিশ!

প্রেমিকাকে ফেলে পালাতে চেয়েছিল প্রেমিক, ধুমধাম করে বিয়ে দিল পুলিশ!

দীর্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্কে থেকেও বিয়ে করতে রাজি নয় প্রেমিক। এমতাবস্থায় অনাথ যুবতীর পাশে দাঁড়ালেন পুলিশকর্মীরা। থানা চত্বরেই বিয়ের মণ্ডপ তৈরি করে ব্যান্ড পার্টি ডেকে ওই যুবতীর সঙ্গে অভিযুক্ত প্রেমিকের বিয়ের দিলেন তারা। ভারতের মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুমেদপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবতীর নাম সোনাদেবী সিংহ (২৩)। তার বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলায়। কুমেদপুরের মাখনা কারখানাতে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। সেখানেই বিহারের দ্বারভাঙা জেলার বাসিন্দা শঙ্কর সাহনি (২৫) নামে ওই অভিযুক্ত যুবকের সোনাদেবীর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে প্রণয়ের সম্পর্ক। কিন্তু সোনাদেবী বিয়ের জন্য চাপ দিতেই বেঁকে বসেন শঙ্কর। এর পরেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সোনাদেবী।

তার অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিয়েতে রাজি হচ্ছেন না তাঁর প্রেমিক। সঙ্গে সঙ্গে শঙ্করকে থানায় ডেকে আনা হয়। সেখানে দীর্ঘ ক্ষণ শঙ্করকে বোঝান পুলিশকর্মীরা। সব অভিযোগ স্বীকার করে বিয়েতে রাজিও হন তিনি।এর পর থানাতেই বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দেন আইসি সঞ্জয়কুমার দাস-সহ অন্য পুলিশকর্মীরা। থানাতেই তৈরি করা হয় মণ্ডপ। ব্যান্ড পার্টি ডেকে ঢালঢোল পিটিয়ে হিন্দু মতে বিয়ে শঙ্কর আর সোনাদেবীর বিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা।

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, যুবতী কাঁদতে কাঁদতে থানায় এসেছিলেন। ওঁর বাবা-মা নেই। পুরো ঘটনা শোনার পর যুবককে থানায় ডাকি আমরা। সব স্বীকারও করে নেয় ওই যুবক। এর পর থানার উদ্যোগেই অনাথ যুবতীর বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশের এই উদ্যোগে আপ্লুত স্থানীয় বাসিন্দারাও। আব্দুল মতিন নামে বাসিন্দা বলেন, ওঁরা অনেক দিন ধরেই প্রেম করত। কিন্তু মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাইছিল না ওই যুবক। মেয়েটির মা-বাবা নেই। পুলিশ যে ভাবে সমস্যার সমাধান করল, তা প্রশংসনীয়।সূত্র-আনন্দবাজার।

আপনি আরও পড়তে পারেন