আর্জেন্টিনায় ব্যাপক বিনিয়োগ করবে চীন, চুক্তি স্বাক্ষর

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার কৃষিপণ্য ও সড়ক ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্নখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করবে চীন। উভয় দেশের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার এই দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওপর আর্জেন্টিনার অর্থনীতি ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। আর্জেন্টিনা সেই নির্ভরতা কমাতে চায়। আর সে কারণেই চীনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বেইজিংয়ে সফর করেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্ডেজ।

বেইজিংয়ে চলমান শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষে দেশটিতে সফরে যান আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট। সেখানেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার বৈঠক হয়। দীর্ঘ আলোচনায় ঠিক হয়েছে, আর্জেন্টিনার কৃষিপণ্য বাজারে ব্যাপক বিনিয়োগ করবে চীন। বীজ থেকে উৎপাদন, সবক্ষেত্রেই আর্জেন্টিনাকে সাহায্য করবে চীন।

শুধু তা-ই নয়, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির সড়ক ব্যবস্থাপনায়ও বিনিয়োগ করবে চীন। গোটা বিশ্ব জুড়েই বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প (বিআরআই) বাস্তবায়ন করছে বেইজিং। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় রাস্তা ও বন্দর তৈরি করছে তারা। এবার আর্জেন্টিনায়ও একই কাজ করবে চীন। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনায় ২৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করবে তারা এশিয়ার এই পরাশক্তি দেশটি।

চীন এখন সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য করে ব্রাজিলে। আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যবন্ধু হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টও গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে আর্জেন্টিনার বাণিজ্য সম্পর্ক ৫০ বছরে পড়েছে। আর নতুন চুক্তি এই কারণেই ঐতিহাসিক।

চীন থেকে রাশিয়ায় গেছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তার। ইউক্রেন সংকটকে সামনে রেখে ইউরোপ যখন কার্যত দ্বিধাবিভক্ত তখন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের একইসঙ্গে চীন এবং রাশিয়া সফর কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন