নবাবগঞ্জের শিকারীপাড়া ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নবাবগঞ্জের শিকারীপাড়া ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ঢাকার নবাবগঞ্জে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে আব্দুল গফুর বেপারী (৫৫) নামের এক কৃষককে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহত আব্দুল গফুর বেপারী উপজেলার শিকারীপাড়া ইউনিয়নের নতুন সোনাতলা গ্রামের মৃত তেনু বেপারীর ছেলে। তবে অভিযুক্তের পরিবারের দাবি গফুর বেপারীকে কোন আঘাত করা হয়নি।

মামলার এজাহার সূত্রে ও নিহতের পরিবার জানায়, ১লা ফেব্রুয়ারী বিকেলে বিষমপুর বাজারের ব্যবসায়ী লাভলুর দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডারের অর্ডার দেন গফুর বেপারী। দোকানদার অটোগাড়ি চালক চাঁন মিয়ার গাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার পাঠিয়ে দেন। কিন্ত গাড়ি চালক চাঁন মিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার গফুরের বাড়িতে পৌছে না দিয়ে নিজের বাড়িতে রেখে দেয়। এ নিয়ে সন্ধ্যায় গফুর বেপারী ও চাঁন মিয়ার মধ্যে কথাকাটি হলে চাঁন মিয়া গফুরকে চর থাপ্পর দেন। পরে সন্ধ্যার দিকে গফুর বেপারী ও তার স্ত্রী রেবেকাসহ স্থানীয় চুন্নু , মোমেন ও শারজাহান এ ঘটনার বিষয়টি জানতে চাঁন মিয়ার বাড়িতে গেলে সেখানে প্লাস্টিকের চেয়ার ও বাঁশের লাঠি দিয়ে সবার সামনে আঘাত করতে থাকে চাঁন মিয়া। লাঠির আঘাতেই আব্দুল গফুর বেপারী আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্ত্রী রেবেকা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আগে পরে কোনো শত্রুতা ছিল না। সামান্য গ্যাসের বোতলকে নিয়ে তর্কবিতর্ক থেকে তার স্বামীকে চোঁখের সামনেই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি তার স্বামী হত্যায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. চুন্নু ও মোমেন বলেন, ঘটনার দিন তারা তিনজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে তর্কাতর্কি এরপর লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয় আব্দুল গফুর বেপারীকে। তারাও এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানান। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী শাহজানান জানান, চাঁন মিয়া লাঠি নিয়ে আঘাত করতে এসেছিল, তা তিনি ফিরিয়ে দেন। পরে গফুর বেপারীর শরীরে কিভাবে আঘাতে লেগেছে তিনি দেখেনি।

অভিযুক্ত চাঁন মিয়ার স্ত্রী লায়লা বেগম দাবি করেন, তাদের বাড়িতে এসে গফুর বেপারীর স্ত্রী তার স্বামীকে মারতে গিয়েছিল। তবে চাঁন মিয়া আব্দুল গফুর বেপারীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে নাই। তিনি অসুস্থ ছিলেন পরে হাসপাতালে নেওয়া পথে মারা গেছেন। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর আমার স্বামীরে ৩০/৩৫ জনে মিলে পিটাইছে।

এব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার এসআই মো. আব্দুল জলিল বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আমি ছুটিতে আছি কাগজ দেখে বিস্তারিত বলতে পারবো।

আপনি আরও পড়তে পারেন