পাকুন্দিয়ায় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০

পাকুন্দিয়ায় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
মাহফুজ রাজা,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ সোমবার সকালে পাকুন্দিয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী আসনের সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক  অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, সকাল ১০টার দিকে তাঁর নেতৃত্বে দলের নেতা–কর্মীরা কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। এ সময় বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে ইট পাটকেলের আঘাতে সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সমর্থক পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ বলেন, বিনা উসকানিতে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
বর্তমান সাংসদ নূর মোহাম্মদের সমর্থক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু বলেন, ‘সাবেক এমপি সোহরাব উদ্দিনের লোকজনেরা নিজেরাই লাঠিসোঁটা নিয়ে গন্ডগোল করেছে। সেখানে আমরা এবং এমপি নূর মোহাম্মদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না।’
 পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার জাহানের দাবি, অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকেরা নিজেদের মধ্যে এ সংঘর্ষে জড়ায়।
এ বিষয়ে ওসি জানান, ‘টানা এক ঘণ্টা ধরে এ সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলসহ আশপাশে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে অনেক দিন ধরে সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন ও বর্তমান সাংসদ নূর মোহাম্মদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার হামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন