ঠাকুরগাঁওয়ে ১২শ গাছ কর্তন করে জোর পূর্বক জমি দখলমুক্তের অভিযোগ এলাকায় উত্তেজনা

ঠাকুরগাঁওয়ে ১২শ গাছ কর্তন করে জোর পূর্বক জমি দখলমুক্তের অভিযোগ এলাকায় উত্তেজনা
জসিম উদ্দিন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
  আম বাগান কর্তন করে জোরপূর্বক ভোগদখলকৃত সরকারি জমি দখলমুক্তের অভিযোগ প্রশাসনের বিরুদ্ধে। আজ সকালে ভুমি কর্মকর্তা শারিয়ার রহমানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার কৃস্টপুর এলাকায় জমি দখলমুক্ত করতে শ্রমিক দিয়ে বাগানের গাছ কর্তনের সময় তোপের মুখে পরেন। এসময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আবাদকৃত ভোগদখলকৃত ব্যক্তিদের অভিযোগ, পত্রিক সম্পতি হিসেবে পূর্ব পুরুষ থেকে ওই এলাকার প্রায় চার একর জমিতে চাষাবাদ করে আসছিল। সবশেষ বার বছর ধরে আম ও কমলা বাগান গড়ে তুলেন। ১৯৭২ সালে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ১শ বিঘা জমির বেশি থাকায় জমির মালিক নিজেই উদ্বৃত সম্পতি প্রায় ৫ একর জমি সরকারকে ছেড়ে দেন। পরে তিনি মারা যান। মৃত্যুর পর ২০০৭ সালে ভুমি অফিস থেকে তার সন্তানদের নোটিশ প্রদান করেন ভুমি কর্মকর্তা। নোটিশ পাওয়ার পর সরকারকে দেয়া জমির বিষয়ে ভুল রয়েছে মর্মে ভুমি অফিসে ভ্রন সংশোধনের আবেদন করলেও তার জবাব না দিয়ে কালক্ষেপন করেন।
সেই সুত্র ধরে ভুমি কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মচারিরা আজ সকালে ওই জমিতে আবাদকৃত ১২শ আম ও ৩ শতাধিক কমলার গাছ কর্তন করে জমিটি দখলে নিতে গেলে তোপের মুখে পরেন প্রশাসন। এসময় ভোগদখলকারিসহ স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রয়া জানায়।
জমির মালিক মরহুম কুসুম উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির অভিযোগ করে বলেন, টাকা লোভে ভুমি কর্মকর্তা কোন নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ ভোর থেকে শ্রমিকদের দিয়ে প্রায় ১৫শ গাছ কর্তন করেন। যা সম্পুর্ন বেআইনি। আমরা বার বার তার সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তিনি বিষয়টি সমাধান দেয়ার কথা বলে কালক্ষেপন করেন। পরে জমিটি দখল নিতে নিজেই অবৈধকাজে লিপ্ত হন। যা তিনি করতে পারেন না। আমরা দ্রুতই রিট করবো আদালতে।
এ বিষয়ে ভুমি কর্মকর্তা শারিয়ার রহমান বলেন, জমির মালিক নিজেই সরকারকে জমি দিয়েছেন। এখানে আমাদের করণীয় নেই। তবে তারা দাবি করেছিলেন সংশোধনের জন্য। তবে আইন অনুযায়ী কিছু করার ছিল না। আর বাগানের গাছ কর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এসব ছিল চারা গাছ সেগুলো কর্তন করে মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণে জমি উদ্ধারের কাজ চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন