দোহারে স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ

দোহারে স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ
ঢাকার দোহার উপজেলায় পারিবারিক কলহ এবং  স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৭ মার্চ) রাত নয়টার দিকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবী শালিকা ও দুলাভাইয়ের পরকিয়ার জেরে আত্মহত্যা করেছে স্বামী।
নিহত সোহাগ খান (২৩) মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানার আড়মারা গ্রামের পলাশ খানের ছেলে। তার শশুরবাড়ি দোহার উপজেলার মুকসুদপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর ফুলতলা গ্রামে। শ্বশুরের নাম শেখ আব্দুল মান্নান। নিহত সোহাগ গত তিনদিন আগে তার শশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন।
নিহতের মামা আনোয়ার হোসেন জানান, গত ডিসেম্বর-২০২১ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে শেখ আব্দুল মান্নানের ছোট মেয়ে মুন আক্তারের (১৮) সাথে। এরপর পরিবারের সম্মতিতে গত তিনমাস আগে সোহাগ খান ও মুন আক্তারের বিয়ে হয়। সোহাগ একটি বেসরকারী কোম্পানীর প্রাইভেটকার চালক। বিয়ের সময়ে মুন আক্তারের বড় বোন সাদিয়া আক্তারের জামাই রিফাত হোসেন বাধাঁ দেন বিয়েতে। একপর্যায়ে বিয়ে নিয়ে ঝগড়া করেন সোহাগ খান ও তার পরিবারের সাথে। এ সময়ে রিফাত হুমকি দেন এ বিয়ে তিনি মেনে নিবেন না এবং মুনকে সংসার করতে দিবেন না।
নিহতের মা আন্না বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার একমাত্র ছেলে সোহাগের স্ত্রী মুন মোবাইল ফোনে জানান, তার ছেলের অবস্থা ভালো নয়। দ্রুত দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  আসতে বলেন। সংবাদ পেয়ে গাড়ী ভাড়া করে এসে দেখেন তার ছেলে হাসপাতালে লাশ হয়ে পড়ে রয়েছেন। সোহাগের পরিবারের অভিযোগ, মুন বিভিন্ন ছেলের সাথে মোবাইলে কথা এবং চ্যাটিং করতো। এটা নিয়ে দুজনের মাঝে প্রায়ই কলহ হতো। তারই প্রেক্ষিতে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে বলে তাদের আশংকা। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে হাসপাতালে আসা নিহতের শাশুড়ী সাজেদা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আজ বিকালে মেয়ের জামাই সোহাগকে খেতে বললে তিনি গোসল সেরে আসবেন বলে গোসলখানায় যান। একপর্যায়ে কোন সাড়া শব্দ না পেলে গোসলখানার দরজা ভেঙ্গে দেখেন তার মেয়ের জামাই জানালার লোহার গ্রীলের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে। কেন আত্নহত্যা করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বড় মেয়ের জামাই তার শালিকার সাথে কথা বলায় সোহাগ অভিমান করে এমন কাজটি করেছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত মুন আক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হন নি এবং একপর্যায়ে হাসপাতাল থেকে সরে পড়েন।
এবিষয়ে দোহার থানার এস আই শফিউল্লাহ বলেন, সংবাদ পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে সুরতহাল শেষে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন