শিবালয়ের অক্সফোর্ড একাডেমী আদালতের আদেশ অমান্য করে শিক্ষক নিয়োগ

শিবালয়ের অক্সফোর্ড একাডেমী আদালতের আদেশ অমান্য করে শিক্ষক নিয়োগ
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ০৮ মার্চ
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অক্সফোর্ড একাডেমীতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞার কপি পাননি তিনি। অথচ প্রধান শিক্ষক নিজেই বাদি হয়ে ওই মামলায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিপক্ষে হাইকোর্টে আপিল করেন।
জানা গেছে, অক্সফোর্ড একাডেমীতে হিন্দু ধর্ম বিষয়ক সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে রেখা রাণী দত্ত দীর্ঘ ২২ বছর যাবৎ কর্মরত আছেন। শূন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও হিন্দু বিষয়ের জন্য সহকারী শিক্ষক নেওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক রিকুিইজিশন দিলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) উক্ত পদের জন্য একজন শিক্ষিকাকে যোগদানের জন্য সুপারিশ করেন। ফলে বাধ্য হয়ে হিন্দু শিক্ষক পদে নতুন করে নিয়োগ বন্ধে আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন বর্তমানে কর্মরত শিক্ষিকা রেখা রাণী দত্ত। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী অক্সফোর্ড একাডেমীতে সহকারী শিক্ষক (হিন্দু) পদে নিয়োগে ছয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট।
বর্তমানে সহকারী শিক্ষক (হিন্দু) পদে কর্মরত শিক্ষিকা রেখা রাণী দত্ত জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে এমপিওভুক্ত করার কাজটি সম্পূর্ণ করেন নাই। বিদ্যালয় হতে প্রাপ্য আমার বেতনের অংশ আমাকে না দিয়ে নানা তালবাহানা ও গড়িমসি করিতেছেন। আমাকে চাকুরিচ্যুত করার লক্ষ্যে তিনি এনটিআরসিএ বরাবর বার বার চাহিদা পত্র প্রেরণ করেন। এ নিয়ে আমি হাইকোর্টে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট আমার নিষেধাজ্ঞার আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন আমাকে চাকুরিচ্যুত করতে আদালতের সেই আদেশ অমান্য করে একজন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে অক্সফোর্ড একাডেমীর প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন বলেন, আমি আদালতের আদেশের কপি পাইনি। তবে নিয়ম মেনেই হিন্দু ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আর কোন কথা বলতে পারবো না।
এ প্রসঙ্গে অক্সফোর্ড একাডেমীর এডহক কমিটির আহবায়ক মো: হাফিজুর রহমান খান বলেন, এনটিআরসিএ বরাবর হিন্দু ধর্মের শিক্ষক পদে নতুন করে চাহিদা পত্র প্রেরণের বিষয়ে আমি জানতাম না। পরে আমি সেটা জানতে পেরে নিয়োগ বন্ধের জন্য এনটিআরসিএ বরাবর সুপারিশপত্র পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা জাহান বলেন, এটা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না। কি করতে হবে সেটা আদালতই নির্ধারণ করে দিবেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন