নওগাঁয় পৌরসভার প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

নওগাঁয় পৌরসভার প্রকল্পের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ(সেক্টর) প্রকল্প পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এর সরদার পাড়া বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পের কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কাজ। কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ হচ্ছে নিম্নমানের  সামগ্রী দিয়ে আর চলছে দায় সারা ভাবে নির্মান কাজ। ব্যবহার হচ্ছে, তিন নম্বর ইট,  লোকাল বালি ও নিন্মমানের সিমেন্ট।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় নতুন করে উপজেলায় সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৪৭ মিটার, সিঙ্গেল ইউনিট টয়লেট নির্মাণ নয়টি, ফুটপাত নির্মাণ ৫৪৭ মিটার, বিগ ড্রেন নির্মান ২০২ মিঃ, সোলার স্ট্রিট লাইট ০৭টি, টিউবওয়েল স্থাপন ৬টি, মোট মূল্য ৫,০২০,৫১৬০’৪৫ টাকা। গত ১৮/০২/১৯ ইং তারিখে কাজ শুরু হয়ে ১৭/০২/২০ ইং তারিখেও কাজ শেষ করতে পারেননি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। ভূতুড়ে রহস্যে ঘেরা যেন এ প্রকল্পটি। যখন মন চায় পরিবর্তন হয়। পিআইসি (প্রকল্প পরিচালক) কোন এক অদৃশ্য শক্তি যেন আছে এই প্রকল্পটির মাঝে।

এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, এলাকার রাস্তাঘাট, ব্রিক ড্রেন, ফুটপাত, সোলার স্টিট লাইট, টিউবওয়েল স্থাপন, নির্মাণে কোটি টাকা বরাদ্দ পাইলেও সঠিক কাজ হচ্ছে না। নাম মাত্র কাজ করে দায় সারছেন সংশ্লিষ্টরা। আমরা চাই সঠিক কাজ। সঠিক ভাবে কাজ হলে এলাকার মানুষের উপকার হবে। ড্রেনের কাজ হচ্ছে নাম মাত্র ঢালাই তা’ও হচ্ছে আবার পানির মধ্যে যা টিকসই হবে না কখনো। কোথাও ড্রেন মোটা, কোথাও চিকন, কোথাও বাঁকা। সঠিক মাপে তৈরী হচ্ছে না ড্রেন। ইট, বালি, সিমেন্টগুলো নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে তৈরী এই ড্রেন আমাদের হয়তো তমন কোন কাজেই আসবে না। কাজ তদারকি করার জন্য পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার এসে কাজ দেখেও যেন তিনি কি কিছুই দেখতে পাননি? এতো নিন্মমানের কাজ হচ্ছে তিনি কিছুই বলেননি বিষয়টি খুবই রহস্য জনক! আমরা এলাকাবাসী চাই আমাদের এলাকার কাজ সুন্দর ও দুর্নীতি মুক্ত হোক।

প্রকল্প পরিচালক নাসিমা আক্তার জানান, ইটের দাম বেশী তাই পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম স্যারের দিকনির্দেশ মোতাবেক প্রকল্প চলছে। তবে আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি, আমার প্রকল্পে কোনো অনিয়ম করতে দেইনি। ইটের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারনে ২নং ইট কিছু আছে। তবে আমার প্রকল্পের সকল ইট, বালু, সিমেন্ট জাহাঙ্গীর আলম স্যার নিজে কিনে দিচ্ছেন। আমার আগে কাজের দায়িত্বে অন্য একজন ছিল। সে কিছুটা অনিয়ম করেছে। আমি কাজটি সঠিক ভাবে করার চেষ্টা করছি।

নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রকল্পটি অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য। প্রকল্পটি সময়মতো শুরু হলেও কিছু জটিলতার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। এখন ইটের দাম বেশি সেজন্য দুই ও তিন নং ইট দিয়ে কাজ চলতেছে এটা কোন বিষয় নয়, এবিষয়ে উদ্ধতন কর্মকর্তারাও জানেন। নিম্নমানের বালির কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বালির দাম বেশী সে জন্য কিছুটা হতে পারে। পানি চলাচলের মতো করে ড্রেন হলেই হবে কোন উপায় নাই যত দ্রæত প্রকল্পটির কাজ শেষ করা যায় কি-না সেই চেষ্টায় এখন চলছে।

নওগাঁ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নজমুল হক সনি বলেন, যদি প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে এ প্রকল্পের সাথে জড়িত কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেয়া হবে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন