বেপরোয়া ড্রাম ট্রাক কেড়ে নিল রংমিস্ত্রির প্রাণ

বেপরোয়া ড্রাম ট্রাক কেড়ে নিল রংমিস্ত্রির প্রাণ

শেরপুরে বেপরোয়া ড্রাম ট্রাকে নুরুল ইসলাম (৪০) নামে এক রংমিস্ত্রি নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৪ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে জেলা শহরের চাপাতলীস্থ এতিমখানা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নুরুল ইসলাম সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে জেলা শহরের খরমপুর থেকে পৌরসভার কসবা কাচারীপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে ফিরছিলেন। এতিমখানা মোড়ে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া ড্রাম ট্রাক নুরুলের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় নুরুল এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. খাইরুল কবীর সুমন বলেন, নূরুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহম্মদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রংমিস্ত্রি নুরুলের মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে শেরপুরের পাঁচ উপজেলায় ট্রলি, ভটভটিসহ বেপরোয়া ও ঝুঁকিপূর্ণ সব ধরনের গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করেছি। তবুও যারা রাতের আঁধারে এসব যানবাহন নিয়ে সড়কে বের হচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, এ রকম বেপরোয়া যানবাহনের কারণে গত কদিন আগে নালিতাবাড়ী থানার ওসি বাদল সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। শেরপুর সদরসহ অন্য চার উপজেলার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ম্যাসেজ দেওয়া আছে যেন ড্রাম ট্রাক, ট্রলিসহ ঝুঁকিপূর্ণ গাড়ি সড়কে চলাচল করতে না পারে।

আপনি আরও পড়তে পারেন