নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাহাপুর এলাকায় খালের নির্মিত একটি সেতুর একাংশ ভেঙে ট্রাক খাদে পড়ে যায়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতু দীর্ঘদিনেও মেরামত না হওয়ায় বুধবার (২৪ মার্চ) দুপুরে মালবাহী একটি ট্রাক পার হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ট্রাকচালক আক্তার হোসেন ও তার সহকারী গুরুতর আহত হন। তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বৈদ্যরবাজার ঘাট এলাকার কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের চলাচল দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যরবাজার ও কুমিল্লা মেঘনা উপজেলা ও আড়াইহাজার উপজেলার বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র পথ এটি। দীর্ঘদিনে ধরেই উপজেলার মোগরাপাড়া-বৈদ্যেরবাজার সড়কের সাহাপুর এলাকার সওজের রাস্তায় নির্মিত সেতুটির একাংশ ভেঙে রয়েছে। সেতুর মাঝখানের একটি বড় অংশ ধসে বিশাল গর্ত তৈরি হয় ও সেতুর রেলিং ভেঙে যায়।
ফলে সেতু দিয়ে চলাচল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরে সওজ কর্তৃপক্ষ সেতুর মাঝে একটি স্টিলের প্লেট বসিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। বুধবার টাইলসভর্তি একটি ট্রাক ওই সেতুতে উঠলে একাংশ ও রেলিং ভেঙে খালে পড়ে যায়।
স্থানীয় সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম জানান, এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তা ছাড়া এলাকায় বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য ও কোম্পানির মালামাল আনা-নেওয়া করতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মানুষকে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতুটি খালের ওপর হলেও এ সেতু দিয়ে তিনটি কোম্পানির ভারী যানবাহনসহ এ অঞ্চলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচল করে। সওজ কোনো রকম যান চলাচল করার জন্য তাদের দায় শেষ করে। দ্রুত এ সেতুটি নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মেহেদী ইকবাল বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে। ভারী যান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেতুর রেলিং ভেঙে ট্রাক খালে পড়ে যাওয়ার খবর শুনেছি।
তিনি আরও বলেন, এ সেতু নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করে নকশা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বাজেট হলেই চলতি অর্থবছরে এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে।
