ইফতারির বাড়তি দামে কমেছে ক্রেতা

ইফতারির বাড়তি দামে কমেছে ক্রেতা

এবার রমজানে ইফতার সামগ্রীর দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা কম পরিমাণে ইফতার কিনছেন। বিক্রেতারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ইফতারির কাঁচামাল। তাই ইফতারির দাম আগের বছরের তুলনায় বেশি।

ক্রেতারা বলছেন, গত বছর যে বেগুনি ৫ টাকা দিয়ে কেনা যেত, তা এবার ১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। একইভাবে আলুর চপ, পিয়াজু থেকে শুরু করে কাবাবসহ সব ইফতার সামগ্রীর দাম বেড়েছে। দামের কারণে বাধ্য হয়ে কম ইফতারি কিনছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান ও শাহাজাদপুর এলাকার ইফতারি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

গুলশান-১ নম্বরে অবস্থিত ফখরুদ্দিন বিরিয়ানিতে চিকেন বটি কাবাব পুরো শিক বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা। দাম শুনে কাবাব না কিনে বেগুনি, ছোলা ও পিয়াজু কিনে বাড়ি ফিরছেন উত্তর বাড্ডার এক বাসিন্দা।

dhaka post

তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় ৩০-৪০ টাকা বেশি কাবাবের দাম। এত দাম দিয়ে আমরা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার কীভাবে এসব কিনব। ইফতার কিনে বাসায় ঠিকই ফিরছি, কিন্তু পছন্দমতো নিতে পারিনি।

পূর্ণিমা রেস্টুরেন্ট থেকে ২৮০ টাকায় আধা কেজি হালিম কিনে বাসায় ফিরছেন শাহাজাদপুরের বাসিন্দা আলী হোসেন। তিনি বলেন, পরিবারের জন্য হালিম দরকার এক কেজি। আর এক কেজি হালিমের দাম ৫০০ টাকার বেশি। শুধু হালিমই যদি এত টাকা দিয়ে নিতে হয়, তাহলে অন্য জিনিস কীভাবে নেব। তাই অল্প কিনে বাসায় ফিরছি।

রেস্টুরেন্টের (পূর্ণিমা) বিক্রয় কর্মী সাজ্জাদ খান বলেন, আমরা কী করব? গত বছরও ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে হালিম বিক্রি করেছি। এখন গরুর মাংস থেকে শুরু করে সব পণ্যের দাম বাড়তি। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। যদিও আমাদের বিক্রি কমে গেছে।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন