ঢাকার দোহার উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নে ৫৬ পুরিয়া হেরোইন ও ১০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের দোহার থানার ০৬ নং মামলায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ৮(ক)/ ১০(ক) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের বড় বাস্তা এলাকার রাস্তার উপর থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় কালে তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার বড় বাস্তা এলাকার রোমান শিকদারের ছেলে আবির শিকদার (২৩) ও একই এলাকার মতি শিকদারের ছেলে ইমরান শিকদার (২৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চর মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সঞ্জয় মালো ও এএসআই অমিত হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করার সময়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়কালে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় ঐ দুই আসামিকে আটক করে পুলিশ।
এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে ৮/১০ বার আবির শিকদারের জেল-জরিমানা হয়। ঘটনাস্থলে হাতকড়া লাগানোর পরেও দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে ওই মাদক সম্রাট আবির শিকদার।
উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে তাদের দেহ তল্লাশি করে ৫৬ পুরিয়া হেরোইন ও ১০ পিস ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।
আটকের পর এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুরব্বি। তিনি বলেন কতবার জেল-জরিমানা হলো জামিনে এসে সকালে দুপুরে সন্ধ্যায় পাকা রাস্তায় অনেক অচেনা মুখের আনাগোনা এবং মোটরবাইক প্রকাশে বেচাকেনার হিড়িক পরতো আমাদের বাড়ির সামনে আজ দুইদিন হলো ওইসব লোকের আনাগোনা বন্ধ হয়েছে।
এক মহিলা দুঃখ করে প্রতিনিধিকে বলেন ১৫/২০ মিনিট হাতকড়া লাগানো অবস্থায় মাদক বেপারিকে দৌড়াদৌড়ি করে কত কষ্ট করে পুলিশ ধরলো যদি ছাড়া পেয়ে আবার বেচা শুরু করে আমাদের ঘরের নাতিপুতিরা নষ্ট হয়ে যাবে।
এবিষয়ে দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল জানান, মাদকদ্রব্যসহ ঐ দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদক মামলা দিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।