দোহারে যানযট নিরসনের নামে যানযট ভোগান্তি

দোহারে যানযট নিরসনের নামে যানযট ভোগান্তি
ঢাকার দোহার উপজেলায় পৌরসভার যানযট নিরসনকল্পে টোল আদায়ের নামে সড়কে সৃষ্ট যানযটে ভোগান্তি পোহাচ্ছে চালক, যাত্রী, পথচারী ও শিক্ষার্থীরা।
প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এ টোল আদায়। উপজেলার জয়পাড়া থানার মোড়, কলেজ মার্কেট, আয়োজন মোড়, ওয়ান ব্যাংক মোড় এবং করম আলীর মোড়ে প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে টোল আদায় করছে পৌরকর্তৃপক্ষ। এতে সৃষ্টি হচ্ছে মহা যানযট আর ভোগান্তি পোহাচ্ছে সকল শ্রেণী, পেশার মানুষ।
এবিষয়ে কয়েকজন ব্যাটারী চালিত অটো গাড়ি চালকের সাথে কথা বললে তারা জানান, দোহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে চাঁদা তুলছে। তারা চাঁদা তুলতে গিয়ে আমাদের লোকজনের গায়ে হাত তুলছে। আমরা দিন আনি, দিন খাই। আমাদের ওপরই চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। আর এই চাঁদার ভাগ প্রভাবশালী সিন্ডিকেট করে কাউন্সিলর, রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ী সমিতির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও যোগসাজশে এই চাদাঁ তুলছেন।’ সব টাকা পৌর ফান্ডে জমা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তাদের।
এ বিষয়ে একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পথচারীরা জানান, টোল আদায় করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে কিন্তু সেবা কোথায়? টোল আদায় করতে গিয়ে আরও যানযটের সৃষ্টি করছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
দোকান মালিকরা বলেন রাস্তার দুইপাশে পার্কিং ব্যবস্থা বন্ধ করতে পারলেই যানযট বন্ধ করা সম্ভব।এছাড়াও টোল আদায়কারীর মধ্যে স্বজনপ্রীতি দেখা যায় তাদের পরিচিত এবং ১০/২০ টাকা খেয়ে যাত্রী উঠানামা করার নামে অটোরিকশা, অটোগাড়ীর পার্কিং করার সুযোগ করে দেয়। এটা বন্ধ হলে যানযট নিরসন বন্ধ করা সম্ভব।
এবিষয়ে দোহার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামালের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, দোহার পৌরসভার টোল আদায়ের নামে সৃষ্ট যানযটের কারণে সড়কে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সকলকে এটা সত্যি। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পৌর মেয়র আব্দুর রহিমের কাছে চাঁদাবাজীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,পৌরসভা যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ইজারা প্রদান করেছে।কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমানিত হলে ইজারা বাতিল হবে।
এ বিষয়ে ইজারাদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনি আরও পড়তে পারেন