জগন্নাথপুরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর দায়ে শিক্ষককে গণধোলাই

জগন্নাথপুরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর দায়ে শিক্ষককে গণধোলাই
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুরে প্রাইভেট পড়াশোনার সুবাদে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার কারণে বিজয় নামক স্কুল শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছেন অভিভাবক ও জনতা।এনিয়ে এলাকায় আলোচনা- সমালোচনার ঝড় বইছে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত দাসনোয়াগাঁও গ্রাম নিবাসী বিরেন্ড কুমার দাস এর ছেলে কলকলিয়া ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাস জগন্নাথপুর পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ড এর বাসুদেব বাড়ী এলাকার এলকাছ মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর ধরে বসবাস করার পাশা-পাশি  অত্র এলাকার ষষ্ঠ, অষ্টম ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াশোনা করিয়ে আসছিলেন। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই শিক্ষক এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ছাত্রীর নিকট থেকে লোমহর্ষক যৌন হয়রানির কথা জানতে পেরে ছাত্রীর অভিভাবকরা গতকাল ২৭ শে মে শুক্রবার সকালে বিষয়টি অভিযুক্ত  শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাসকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তিনি অভিভাবকদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। এসময় উপস্থিত  অভিভাবক ও স্থানীয় জনতার হাতে এই শিক্ষককে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। গণধোলাইয়ের শিকার শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাস জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় অনেকেই বলেন, শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাস ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করেন এমন খবর বহুবার শুনেছি। গতকাল ছাত্রীদের অভিভাবকরা শিক্ষক নামের অমানুষকে গণধোলাই দিয়েছেন।
জগন্নাথপুর গ্রাম নিবাসী প্রত্যক্ষদর্শী চান মিয়া ও সুরুজ মিঞা বলেন, ছাত্রীদের সাথে শিক্ষক এর এহেন কর্মকাণ্ডে আমরা লজ্জিত। মানুষ  নামের অমানুষ এর কাছ থেকে কখনো ভাল কিছু আশা করা যায়না। এই শিক্ষক এর দৃষ্টান্ত মূলক বিচার হওয়া দরকার।
এবিষয়ে পৌর সভার ৬ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, শিক্ষককে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে এমন খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি।
এবিষয়ে জানতে গণধোলাইয়ের শিকার শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ দাস এর মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত)
জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) সুশংকর পাল বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন