দেশে সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই: মির্জা ফখরুল

দেশে সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সংলাপের কোনো পরিবেশ নেই। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো সংলাপ হতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকার পদত্যাগ না করবে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করবে, সংসদ বিলুপ্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সংলাপের প্রশ্নই উঠে না।’

মির্জা ফখরুল জানান, আপাতত ম্যাডামের অবস্থা ভালো আছে। ডাক্তার বলেছেন, ডাক্তার বলেছেন উনি অত্যন্ত ভালো আছেন। কোনও সমস্যা নেই এখন পর্যন্ত। উনি হাসপাতাল থেকে যেমনি এসেছিলেন, সেরকমই আছেন। এমনিতেই তো উনি অসুস্থ। অসুস্থতার মধ্যে সুস্থ আছেন। এমন কোনও ব্যাপার নেই যে, এখনই তাকে হাসপাতালে যেতে হবে।

বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে উল্লেখ করে ফকরুল বলেন, যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে বেগম জিয়া সেই বুলেট আপনাকেও ছাড়েনি সেতুমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এটা তো ভয়ঙ্কর কথা, এই বুলেটের কথা যদি তিনি বলে থাকেন তাহলে আমর সন্দেহ হয়, আমি জানি না-শুনিনি কিন্তু তাহলে বোঝা যাবে তিনি পুরোপুরিভাবে এই ধরেনর একটি চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত আছেন। সেইসাথে জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত পরিকল্পনা রয়েছে কি না সেই প্রশ্ন নিশ্চয় আসে।’ এটা তাকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। কারণ, তিনি দায়িত্বশীল সরকারের মন্ত্রী, এটা প্রত্যাখ্যান করার সুযোগ নেই। তিনি যদি বলে থাকেন যে আমি এটা বলিনি তাহলে তাকে এটা বলতে হবে। তিনি যদি বলে থাকেন তাহলে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’

মানবাধিকার ইস্যুতে বিএনপির অভিযোগ মিথ্যা ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মহাসচিব বলেন, ‘তারা তো এ কথা বলবেন, তারা কি এ কথা স্বীকার করবেন? তিনি তো স্বীকার করে নিয়েছেন-আমি তো টেলিভিশনে দেখলাম তিনি বক্তব্যে বলেছেন-জাতিসংঘের কোনো ক্ষমতা নেই গুম বা অপহরণ হয়ে যাওয়া বিষয়গুলোর বিচার করার। তার মানে এগুলো সংঘটিত হয়েছে এটা স্বীকার করছেন। নেত্রনিউজের প্রতিবেদনে আরও বেশি প্রমাণিত হয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারকে একটি আলাদা কমিশন গঠন করে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা তদন্ত করার সুপারিশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। তাদের দেওয়া বিবৃতিতে যা উঠে এসেছে সেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি, তার সত্যতা প্রমাণ হয়েছে। আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্ত চাই, জড়িতদের বিচার চাই।’

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন