ঠাকুরগাঁওয়ে গোরস্থানের জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ২০

ঠাকুরগাঁওয়ে গোরস্থানের জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ২০

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়ায় গোরস্থানের জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১ নম্বর রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেশপুর গ্রামে সালেহিয়া খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন গোরস্থানের চার দাগে মোট জমি দুই দশমিক ৫৯ শতক রয়েছে। জমিটি স্থানীয় মহিউল ইসলাম গং কবলা মূলে খরিদকৃত মর্মে নিজেদের দাবি করে আসছিল।

অপরদিকে ওই জমি সিএস ও এসএ রেকর্ডে গোরস্থান ও মুসলমান সাধারণের ব্যবহার্য মর্মে স্থানীয় মুসল্লীরা দাবি করে সাইনবোর্ড দেয়। ওই সাইনবোর্ডটি মহিউলের লোকজন রাতের আধারে তুলে নিয়ে যায়।

সম্প্রতি গোরস্থানের জমি মুসলমান সাধারণের ব্যবহার্য মর্মে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভূমি অফিস দলিল গ্রহীতাদের খারিজ বাতিল করে দেয়।

এরপর শনিবার সকাল ৮টায় মহিউল লোকজন নিয়ে ওই জমিতে বেড়া দিতে গেলে স্থানীয় মুসল্লীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা বেড়া প্রদানে বাঁধা দিলে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় নিক্ষিপ্ত ইট পাটকেলে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। আহতদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পার্শ্ববর্তী আটোয়ারী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানার নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গোরস্থান রক্ষা কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান জানান, ‘সিএস ও এসএ রেকর্ড অনুয়ায়ী চার দাগে দুই দশমিক ৫৯ শতক গোরস্থানের জমি রয়েছে। সবকিছু জেনেও খতিয়ান ঘষামাজা করে গোরস্থানের জমি দলিল মূলে কিনে নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন তারা। পরে এসিল্যান্ড অফিস তাদের খারিজ বাতিল করে দেয়। আমরা সেখানে গোরস্থানের সাইনবোর্ড দিলে তারা ভেঙ্গে নিয়ে যায়।’

অপরদিকে মহিউল ইসলাম জানান, ‘আমরা রেকর্ডিয় জমির মালিক তরিকুল ইসলামের কাছ থেকে জমি কিনে নিয়ে খারিজ খতিয়ান করে চাষাবাদ করে আসছি। আমি জমিতে বেড়া দিতে গেলে গোরস্থান কমিটির লোকজন বাধা দেয়।’

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা জানান, গোরস্থানের জমির দখল নিয়ে দু’পক্ষ মারমুখী অবস্থানে ছিল। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন