হরিপুরে ৩লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে স্কুল কমিটির অনুমোদন

হরিপুরে ৩লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে স্কুল কমিটির অনুমোদন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
 ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় ৩ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তোররা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেনেজিং কমিটির অনুমোদন দিয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাইহানুল ইসলাম মিঞা বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, হরিপুর উপজেলার তোররা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেনেজিং কমিটি সভাপতি নিবার্চন না করে মন গড়া ব্যক্তি কে সভাপতি করেন এবং ঐ ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লাখ ঘুষ গ্রহন করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, এতে চরম ক্ষভ প্রকাশ করেন অভিভাবক সদস্যগণ।
তোররা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান জানান, সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত ভোটদানের সময়সূচি করা হয়। সভাপতি পদে শাহাজান কবির ও বেলাল উদ্দীন মিলে ২জন নিবার্চন করেন। কিন্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ৮ সদস্যদের মধ্যে ৩ সদস্য ভোট দেওয়ার পরে ভোট কর্যক্রম বন্ধ করে দেন এবং বাকি সদস্যদের না আসার জন্য রাস্তায় বেরিকেট দেন বেলাল উদ্দীনের লোকজন। এতে ৩ সদস্য ভোট দিয়ে বেলাল উদ্দীনকে সভাপতি ঘোষনা দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
অভিভাবক সদস্য হোসনেরা খাতুন, আব্দুল মজিদ বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমাদের ভোট না নিয়ে ভোট কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ভোট দিতে যাওয়ার সময় রাস্তার মধ্যে বেরিকেট দেন বেলাল উদ্দীনের লোকজন। আমারা মুঠোফোনে শিক্ষা অফিসারকে জানায় তিনি কোনো কথা শুনেনি ওটো আমাদের হুমকি দেয় তোমারা বেলালকে ভোট দিলে এখানে আসো না দিলে বাড়িতে থাকেন।
সভাপতি প্রার্থী শাহাজান কবির বলেন, আমাকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফোনে ডেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ চাই আমি দিতে অস্বীকার করলে তিনি জানান তোমাকে দিয়ে সভাপতি চলবেনা। ভোট দেওয়ার সময় ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত কিন্ত সাড়ে ৯টার সময় ভোট কার্যক্রম বন্ধ করে দেন শিক্ষা অফিসার।
শিক্ষা অফিসারের এমন আচরণে ক্ষভপ্রকাশ করে জমিদাতা ও অভিভাবক সদস্য মহরউদ্দীন বলেন, স্বাধীন দেশে শিক্ষা অফিসারের আচরণে আমাদের বাড়িতে থাকতে হবে। এইসব শিক্ষা অফিসারের কারণে সরকারের বদলাম হচ্ছে।
এবিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাইহানুল ইসলাম মিঞা সঙ্গে একাধিকবার যোগযোগ করলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার বহৃ শিখা আসা বলেন, এমন কোনো ঘটনা আমি শুনিনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এইখানে যোগদানের পর থেকে তার খুশি মতো চলছেন, তিনি কাউকে কোনো কিছু মনে করেন না বলে জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জিয়াউল হাসান মুকুল।

আপনি আরও পড়তে পারেন