জগন্নাথপুর এর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভেঙে পড়েছে

জগন্নাথপুর এর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভেঙে পড়েছে
হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) স্টাফ রিপোর্টারঃ
জগন্নাথপুর এর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভেঙে পড়েছে পুকুরের জলে। দীর্ঘদিন ধরে শহীদ মিনার এর মূল স্তম্ভে ফাটল দেখা দেওয়ার পাশা-পাশি নীচের মাটি ধ্বসে পড়ছিল। কিন্তু এটি হুমকির মূখে পড়লেও সংস্কারের জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই শহীদ মিনারটি দ্রুত নির্মাণ এর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন জগন্নাথপুরবাসী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায় ও জানাযায়,১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন এর পর সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের ডাকবাংলো সড়কের পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদ এর পুকুর পাড়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে জাতীয় দিবস সমূহ পালন করা হয়। এবং ২০১৩ সালে তৎকালীন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রায় ১৩ লাখ টাকা ব্যয় সাপেক্ষে এই পুরাতন শহীদ মিনার ভেঙে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। শহীদ মিনারটি পুকুর পাড়ে হওয়ায় সম্প্রতি  মূল স্তম্ভের নীচের মাটি ধ্বসে পড়ার পাশা-পাশি  মূল স্তম্ভে ফাটল দেখা দেয়। গতকাল ১৭ ই সেপ্টেম্বর রোজ শনিবার শহীদ মিনারটি ভেঙে পড়েছে পুকুরের পানিতে। বিধায় দ্রুত নতুন  শহীদ মিনার নির্মাণ করা প্রয়োজন।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর ও জগন্নাথপুর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মুন্না বলেন, উপজেলা সদরস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সংস্কার না হওয়ায় পুকুরের পানিতে ভেঙে পড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই শহীদন মিনারে জাতীয় দিবস সমূহ পালন করা হয়।  দ্রুত নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ এর জন্য দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী, সুজন মিয়া ও আলফু মিয়া বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিতে ছিল।এটা সংস্কারের জন্য আমরা দাবী জানিয়ে ছিলাম। সংস্কার না হওয়ায় এটি ভেঙে পড়েছে। দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ এর জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারে সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হক বলেন, জাতীয় দিবস সমূহ পালন সহ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এই শহীদ মিনারে হয়ে আসছিল। শহীদ মিনারটি ভেঙে পড়েছে। দ্রুত নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ এর জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাজেদুল ইসলাম ল বলেন, নতুন নির্মাণে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন