ঘরের জন্য আকুতি

ঘরের জন্য আকুতি
মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের শাহেদল ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের আছিয়া বেগমের ৪ শতক ভিটেবাড়ী ছাড়া নেই কোনো সম্বল। আছিয়া তার স্বামী জয়নাল আবেদীন খেলু ফকির কে নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
পুরাতন শাড়ী আর ভাঙ্গাচোরা কিছু টিনে জোড়াতালি দেওয়া ঘরের বেড়া, মরিচাধরা টিনের চালায় পলিথিনের চাউনি৷ জীর্ণ এ ঘরে বৃদ্ধ অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে বসবাস আছিয়া বেগমের।
বৃষ্টি এলেই বাড়ে দুর্ভোগ, টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে ভেসে যায় ঘর। কালবৈশাখী ও ভারী বৃষ্টি হলেই অসহায় দম্পতি ছুটে যান অন্যের ঘরে।
জয়নাল আবেদীন খেলু ফকির আগে পাড়ায় পাড়ায় কটকটি বিক্রি করতেন।কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তেমন কোনো কথা না বলতে পারলেও শেষ জীবনে একটি ঘরের আকুতি জানিয়েছেন।
আছিয়া বেগম বলেন, জীবনের ৫০ টা বছর স্বামীর সাথে এমন ভাঙ্গা ঘরে কাটাইছি। এখন শেষ বয়সে থাকতে খুবেই কষ্ট হয় ৷ একটা ঘর হলে একটু শান্তি নিয়ে মরতে পারব।
স্থানীয় (গকুলনগর) ওয়ার্ড মেম্বার সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, তারা খুব অমানবিক জীবনযাপন করছেন। আমরা সরকারের বিভিন্ন সহায়তা গুলো তাদের কে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিয়ে আসছি৷ একটি ঘর পেলে হয়তো তারা শেষ জীবনে একটু শান্তি পাবে৷
এই বিষয়ে শাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ উদ্দিন বলেন, আমি আজকেই আপনাদের মাধ্যমে এই বিষয়টি জেনেছি। বর্তমানে ভূমিহীন ও গৃহহীন এমন প্রকল্প চালু রয়েছে কিন্তু ভূমি আছে গৃহ নাই এমন কোনো প্রকল্প নেই। যদি এমন কোনো প্রকল্প আসে তাহলে আমরা এই পরিবারটির নাম পাঠাব।

আপনি আরও পড়তে পারেন