কাঁঠালিয়ায় শতাধিক বাল্যবিবাহ বন্ধ

 কাঁঠালিয়া উপজেলাধীন পাটি খাল ঘাটা  ইউনিয়ন পরিষদের বারবার ইউপি  চেয়ারম্যান’ শিশির দাশ, পাটি খাল ঘাটা ইউনিয়ন   আওয়ামী লীগের সভাপতি”‘  দীর্ঘদিন ধরে বাল্যবিবাহ জনসেবা মুলক কাজ করে যাচ্ছেন’ এ পর্যন্ত  শতাধিক বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে রেকর্ড গড়েছেন’তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরীরা এখন সুশিক্ষিত হয়ে দেশ ও সুন্দর জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন”
 নির্বাচনে জয় লাভ করে বিভিন্ন সময় গরীব দুখী মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন”
চেয়ারম্যান  নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর বাল্যবিয়ে নিরোধ, মাদক নির্মূল ও যৌন হয়রানি বন্ধসহ অপরাধ দমনে কঠোর হস্তক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থার মান-উন্নয়নে এলাকায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন”
তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য বিবাহ রেজিস্ট্রার “কাজীদের” প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অপ্রাপ্ত ছেলেমেয়েদের বিয়ের রেজিস্ট্রি করলে তার শাস্তি সম্পর্কে ধারণা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে ধারণা, ইউপি সদস্য  ও মসজিদের ইমামদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে ও মাদকের কুফল এবং আইন সম্পর্কে সচেতন করা, গণমাধ্যম কর্মীদের সভার মাধ্যমে বাল্যবিয়ের সকল বিষয়ে অবহিত করে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছেন। ৩নং ইউনিয়নে সমাজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডির মাধ্যমে গণশুনানির ব্যবস্থা চালু করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন এখান জনগণ তাদের অভিব্যক্তি, মতামত, অভিযোগ এবং পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তিনি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতন এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনার শিশুকে স্কুলে পাঠিয়ে শিক্ষিত করুন, বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সরকারকে সহযোগিতা করুন, সরকারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে সহযোগিতা করুন, মাদকমুক্ত থাকুন ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন, সরকারি ভূমি অবৈধ দখল থেকে বিরত থাকুন” সরকারি রাস্তার পাশে কোনো অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণ করবেন না” খাজনা পরিশোধ করে ইউনিয়নসহ দেশের উন্নয়নে সহায়তা করুন। উন্নয়ন ও সার্বিক কর্মকাণ্ডে দলমত নির্বিশেষে আমাদের সহায়তা করুন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শিশির দাশ   বলেন, বিয়ে বন্ধ, বহুবিবাহ, নারী নির্যাতন ও যৌতুক সংক্রান্ত মামলার মূলেই রয়েছে বাল্যবিয়ে। তাই যেমন করেই হোক বাল্যবিয়ে নিরোধ, মাদক বন্ধ করাসহ অন্যান্য অপরাধ দমন, এলাকার উন্নয়ন করে  ইউনিয়ন  কে অপরাধমুক্ত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিত করাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, সমাজসেবক, সমাজ সংস্কারক ও রাজনীতিবিদদের সৎ ও সহনশীল হতে হবে।
আমার জন্ম মানুষের কল্যাণের জন্য। যতদিন বেঁচে থাকব মানুষের সেবায় কাজ করে যাব এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন অর্জনে নিরলস চেষ্টা করে কাঁঠালিয়ার পাটি খাল ঘাটা  ইউনিয়নকে বাংলাদেশের অনুকরণীয় ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব।  নির্বাচিত হওয়ার পরে 
ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা, কমিউনিটি পুলিশিং, মাদক, সন্ত্রাস বাল্যবিবাহ বন্ধ সহ সামাজিকভাবে আনেক কাজ করেছেন, সংবাদকর্মীদের বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক অন্যায় একে প্রতিহত করুন, এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন। বাল্য বিবাহ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা উচিত। বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা৷  আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নুন্যতম একুশ এবং মেয়েদের বয়স আঠারো হওয়া বাধ্যতামূলক৷ অশিক্ষা, দারিদ্র, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা কুসংস্কারের কারনে এ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ হয়ে আসছে৷
বাল্য বিবাহের প্রধান কুফলঃ নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ মা হতে গিয়ে প্রতি ২০ মিনিটে একজন মা মারা যাচ্ছেন৷ অন্যদিকে প্রতি ঘন্টায় মারা যাচ্ছে একজন নবজাতক৷ নবজাতক বেঁচে থাকলেও অনেক সময় তাকে নানা শারীরিক ও মানষিক জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়৷ অপ্রাপ্ত বয়স্ক মা প্রতিবন্ধী শিশু জন্মদান করতে পারে৷ এছাড়া এতে গর্ভপাতের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়৷ বাল্য বিবাহের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের আশংকা তৈরী হওয়া ছাড়াও নানা পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়৷ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের উপায়ঃ বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনটি বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রচার/প্রচারনা করা প্রয়োজন৷
  সংবাদপত্রের মাধ্যমে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করা যেতে পারে৷ গ্রাম পর্যায়ে উঠান বৈঠক ও মা সমাবেশ এক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হবে৷ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনে প্রশাসনের থেকে তাত্ক্ষণিক বিবাহ বন্ধসহ মামলা রজ্জু করা যেতে পারে৷ জন্ম নিবন্ধন সনদ ব্যতীত কোন অবস্তুায়ই নিকাহ রেজিষ্টার যেন বিবাহ নিবন্ধন না করেন, সেরূপ আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে৷ প্রতিটি  ওয়ার্ডে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হলে এর সুফল পাওয়া যাবে

আপনি আরও পড়তে পারেন