ভূঞাপুরে এক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ

ভূঞাপুরে এক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ

মোঃ আব্দুর রহীম মিঞা (টাঙ্গাইল) ভূঞাপুর প্রতিনিধি

 টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক বেল্লাল হোসেন নামে এক বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা কাউকে জানালে তার সন্তান ও স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় বেল্লাল। এ ঘটনাটি উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় ঘটে।

পাওনা টাকা ফেরত, ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিচার চেয়ে বুধবার (১২ অক্টোবর) রাত থেকে বেল্লালের বাড়িতে অনশনে বসেছে ওই নারী। পরে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বেল্লালের স্ত্রী ও মা। বেল্লাল পলাতক রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ভুক্তভোগীর স্বামী অটোভ্যান চালক। বিদেশ যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছে। এরই মধ্যে বেল্লালের সাথে তার দীর্ঘদিনের টাকা লেনদেনের সম্পর্ক ছিল। শুনেছি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন তুলেছিল। সেই টাকা বালু ব্যবসায়ী বেল্লালকে ধার দেন। তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও ছিল।

ভুক্তভোগী নারী শাহিনুর বেগম জানান, বেল্লাল বালু ব্যবসার নামে আমার কাছ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়েছে। টাকা নেওয়ার পর থেকে নানা সময়ে কু-প্রস্তাব দিতো। প্রস্তাবে রাজি না হলে তার পাওনা টাকা ফেরত দেবে না বলে সে জানায়। একপর্যায়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে বেল্লাল তার বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

তিনি আরো জানান, ধর্ষণ ও টাকা ধার নেওয়ার বিষয়টি কাউকে যেন না জানাই এ জন্য ছোট কোরআন শরিফ দিয়ে শপথ করান। একথা কাউকে জানালে আমার সন্তান ও স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দিতো বেল্লাল। কয়েকদিন ধরে সেই পাওনা টাকা চেয়ে আসলে তালবাহানা শুরু করে। এনিয়ে গ্রাম্যভাবে মিমংসার কথা বলেও মিমংসা করেনি। তাই আমি বাধ্য হয়ে ধর্ষণের বিচার ও পাওনা টাকা ফেরতের জন্য বেল্লালের বাড়িতে অনশনে করছি। কিন্তু বেল্লালের মা ও স্ত্রী আমাকে বেদম মারধর করে। আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেছে।

বেল্লালের স্ত্রী ও মা এ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বেল্লালের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। আর তাকে মারধরও করা হয়নি। এছাড়াও বেল্লাল তার থেকে টাকাও ধার নেয়নি। সে টাকা কামানোর জন্য এমন করছে। এ ঘটনার বিষয়ে জানতে বেল্লালকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি, ফোন করলেও রিসিভ করেননি।

আপনি আরও পড়তে পারেন