শিশিরস্নাত সকাল আর কুয়াশা ছন্ন সন্ধ্যা জানান দিচ্ছে বারহাট্টার বুকে শীতের আগমন

শিশিরস্নাত সকাল আর কুয়াশা ছন্ন সন্ধ্যা জানান দিচ্ছে বারহাট্টার বুকে শীতের আগমন

রিপন কান্তি গুণ, বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি;

চারদিকে কুয়াশায় ঢাকা পরিবেশ, শিশির ভেজা ঘাসের দৃশ্য  জানান দিচ্ছে, নেত্রকোনার বারহাট্টায় শীত এবার এসে গেছে। হেমন্ত প্রকৃতিতে প্রভাব ফেলেছে, সেই সাথে শেষ রাতে জানান দিচ্ছে, শীত এসে যাচ্ছে। অন্যান্য ঋতুর চেয়ে শীতের আগমন যেন এক ভিন্ন মাত্রা।

দিনে গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামার পর কুয়াশায় ছেয়ে যায় চারদিক। বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা। রাতভর টুপটাপ ঝরে পড়ে শিশির। ভোরে কুয়াশায় চারদিক একাকার হয়ে যায়। কুয়াশার চাদর সরিয়ে একটু দেরি করেই উঁকি দেয় সূর্য। দূর্বা ঘাসে কিংবা গাছের কচিপাতায় মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে ভোরের শিশির জানান দিচ্ছে, শীত আসছে। প্রতিবারের মতো এবারও বর্ষার ঘনঘটা শেষ করে কার্তিকের কোল জুড়ে শীতের আগমন ঘটেছে। শীত যেন বারহাট্টার প্রকৃতিতে নিয়ে এসেছে ভিন্নমাত্রা। এদিকে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই বারহাট্টা বুকে অতিথি পাখির পদচারণা বেড়েছে।

শিশিরস্নাত সকাল, রোদমাখা দুপুর, পাখির কিচিরমিচির শব্দ, ভেজা সন্ধ্যা আর মেঘমুক্ত আকাশে জোৎস্না ডুবানো আলোকিত রাত আরও রহস্যময় করে তোলে প্রকৃতিপ্রেমীদের।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ বছরের মতো বিদায় নিলো বর্ষা। তাপমাত্রাও কমে গেছে। গত কয়েকদিন দিনের বেলায় বেশ গরম থাকলেও গভীর রাত থেকেই শুরু হয় কুয়াশা পড়া। রাতে ও ভোরের হালকা কুয়াশা সেই সাথে দুর্বা ঘাসের মাথায় শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে নেত্রকোনার বারহাট্টার বুকে আসছে শীত।মূলত পৌষ-মাঘ এই দুই মাস শীতকাল ধরা হলেও আশ্বিন-কার্তিকের দিকেই গুটি গুটি পায়ে শীতের আগাম বার্তা জানায় দেয়।

হিমেল ঠাণ্ডা না পড়লেও, শিরশিরে হাওয়ায় বেশ শীতল হয়ে যাচ্ছে, বারহাট্টার অধিকাংশ গ্রাম। প্রতিদিন সূর্য ডোবার পর থেকে হালকা শীত অনুভব করছেন সব মানুষই। মাঝরাত বা ভোরের দিকে শীতল আমেজ বেশ লাগছে বারহাট্টাবাসীর। পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে ভোরের দিকে দেখা যাচ্ছে, বেশ গাঢ় কুয়াশা। কিন্তু, বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে যাচ্ছে রোদের তেজ।

সারেজমিনে সোমবার (০৭ নভেম্বর) সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সবুজ ঘাসের ওপর ভোরের সূর্যের আলো হালকা লালচে রঙয়ের ঝিলিক। দূর থেকে দেখলে মনে হয় প্রতিটি ঘাসের মাথায় যেন মুক্তোর মতো শিশির কণা জমে আছে। আর শীতের এই আবহাওয়া অনুভব করতে সড়কে হাটা চলা করছেন অনেকই। কুয়াশায় চাদরে ঢেকে আছে রাস্তা-ঘাট। সড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে হেডলাইট জ্বালিয়ে। এসবই জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে এসেছে শীত। প্রতি বছর সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাঙ্গামাটিতে শীতের আগমন ঘটে। তবে এবার কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়েছে শীত।

স্থানীয় কয়েকজন সকালে হাঠতে আসলে তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এ বছর আগাম শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা কিছুটা গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত যত গভীর হয় কুয়াশা তত বাড়ে হালকা বৃষ্টির মতো টিপটিপ কুয়াশা ঝরতে থাকে। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি।

 

 

আপনি আরও পড়তে পারেন