মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নেত্রকোনার পুলিশ সুপার

মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নেত্রকোনার পুলিশ সুপার

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি;

“মানুষ মানুষের জন্যে

জীবন জীবনের জন্যে
একটু সহানুভূতি কি

মানুষ পেতে পারে না?”

ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত এই গানটিকে সার্থক করে তুলতে  মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো ফয়েজ আহমেদ।

তিনি শহর ঘুরে ঘুরে শতিবস্ত্রহীন ছিন্নমুল শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন।  শহরের বড় স্টেশন ও কোর্ট স্টেশন এলাকায় মাঝরাতে শীতার্থ মানুষদের গায়ে জরিয়ে দিচ্ছেন কম্বল।

গত রাত শহরের দুই স্টেশনের ৩০ জন প্লাটফর্মে শুয়ে থাকা অসহায়দের কম্বল বিতরণ করেন। কম্বল বিতরণে সাথে ছিলেন সদর উপজেলার মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ। শীতের শুরুতেই শহর এবং গ্রামের ভাসমান শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ দেখে অন্যান্য মানুষেরাও পুলিশের প্রশংসা করছেন। বিশেষ করে মানবিক সংগঠনগুলো বলছেন, সউর্ধতন কর্মকর্তারা এভাবে প্রতিটি কাজে এগিয়ে আসলে বিত্তশালীদের বিবেক অন্তত জাগ্রত হবে।

কম্বল পেয়ে দারুণ খুশি অসহায় শীতার্থরা। বয়সের ভারে অনেকে শীতে বেশি কাবু হয়ে পড়েন। তাদের কেথাও কোন আত্মীয় স্বজন নেই। এদের পাশে এভাবে হঠাৎ শীত বস্ত্র নিয়ে হাজির হওয়ায় আনন্দে আত্মহারা তারাও।

মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, সদর উপজেলার মডেল থানাধীন শহরের বড় স্টেশন এবং কোর্ট স্টেশন এলাকায় শনিবার ভোর রাতে এসকল কম্বল বিতরণ করা হয়।

তিনি বলেন, স্টেশন চত্বরে ঠান্ডায় কাবু হয়ে শুয়ে থাকা শীতবস্ত্রবিহীন ছিন্নমুল মানুষগুলোর গায়ে পড়িয়ে দেয়া হয় কম্বলগুলো।

পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ জানান, স্টেশন দুটোতে ঘুরে মাত্র ৩০ জন শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র দিয়েছি। যা একেবারে বেশি কিছুই না। কিন্তু এই মানুষগুলো শীতে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলো। এছাড়াও এরই মাঝে জেলার- খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া তদন্ত কেন্দ্র, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, বারহাট্টার ফকিরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পাশে, পুলিশ লাইন্সে সর্বমোট আড়াই শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন,ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ বেড়ে চলেছে। কিন্তু স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখছি রাতে গায়ের পাতলা লুঙ্গি অথবা শাড়ি প্যাচিয়ে খোলা জায়গায় মানুষ শুয়ে আছে। এটা খুব কষ্টের। যে কারণে, আমরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থানে এমন ছিন্নমুল অসহায়দের গায়ে অন্তত কিছুটা শীত নিবারনের জন্য একটি করে কম্বল দিয়ে আসছি। দুর্গাপুর উপজেলায় আদিবাসীসহ জেলার সবখানে এমন সড়কের পাশে থাকা বা স্টেশনে থাকা- মানুষের বারান্দায় থাকা অর্থাৎ ছিন্নমুল মানুষেদের যেখানেই দেখব তাদেরকেই শীত নিবারনের জন্য এটুকু সহযোগিতা করে যাব।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন