প্রায় ৩০০ রোগের পথ্য সজনে গাছে

প্রায় ৩০০ রোগের পথ্য সজনে গাছে
মাহফুজ হাসান,স্টাফ রিপোর্টার:
মানব জীবনের বহু সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে প্রকৃতির বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে। কিন্তু অনেক সময়েই সেই উপকরণগুলি আমাদের নজরে আসে না। এমনই একটি উপকরণের নাম সজনে গাছ। এই গাছটি আমাদের কাছে খুবই পরিচিত।গ্রামাঞ্চলে একটা সময় যেন আঙ্গিনার শোভা বর্ধন করতো, যদিও কালের বিবর্তনে আধুনিকায়নের কষাঘাতে বিলুপ্তির পথে।
সজনের বৈজ্ঞানিক নাম: Moringa oleifera) হচ্ছে Moringaceae পরিবারের Moringa
গণের একটি বৃক্ষ জাতীয় গাছ।সজনের কাঁচা লম্বা ফল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, পাতা খাওয়া হয় শাক হিসেবে। খরা সহিষ্ণু ও গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের একটি উদ্ভিদ। ডাল ও বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করলেও আমাদের দেশে সাধারণত ডালের মাধ্যমে বা অঙ্গজ জননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করানো হয়। গ্রীষ্মকাল বিশেষত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ডাল রোপণের উপযুক্ত সময়।
জানতে পারি,প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলালেবুর চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি,দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন,গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম থাকে।
এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে এবং পালংশাকের চেয়ে তিন গুণ বেশি আয়রন থাকে। যা রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
সজনে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ অবদান রাখে।সজনে গাছ বসন্ত রোগের প্রাকৃতিক টিকা হিসাবে কাজ করে।
সজনে গাছে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা বিপাক হার বাড়াতে খুবই কার্যকর।সজনে শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
সজনের অ্যান্টি-ব্যকটিরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে। এই কারণেই সজনে গাছ যকৃত ও কিডনি ঠিক রাখতে সাহায্য করে।সজনেতে প্রায় ৪৬ রকমের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বর্তমান।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধরনের ছোট বড় প্রায় ৩০০ রোগের পথ্য আছে সজনে গাছে। যা আমাদের অনেকের কাছেই অজানা
সতর্কতা:সজনে এর মূল অনেক সময় বিষাক্ত হতে পারে, যা স্নায়ুকে অবশ করে দিতে পারে। তাই খাওয়ার ক্ষেত্রে এটি বর্জন করাই শ্রেয়।এছাড়া এর বীজ মাছ এবং র‌্যাবিট এর জন্যেও বিষাক্ত হতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যক।

আপনি আরও পড়তে পারেন