স্বামীকে সুস্থ করতে স্ত্রী’র লিভারের দানের পরও বাঁচানো গেলো না

স্বামীকে সুস্থ করতে স্ত্রী'র লিভারের দানের পরও বাঁচানো গেলো না
সানজিদা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা থেকেঃ
ভারতীয় রাজধানী দিল্লির এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান (৬০) মৃত্যু বরণ করেছেন।ইন্নালল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজউিন। আজ (২৭ ডিসেম্বর)  মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু বরণ করেন তিনি। পৌর বাসীর সকলের প্রিয় নেতা পৌর মেয়রের মৃত্যুর খবর  এলাকায় পৌঁছাতে সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে নেমে আসেন শোকের ছায়া।মরহুম মতয়িার রহমান পারবিারকিভাবে এলাকায় অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও সম্মানরে জায়গায় অধষ্ঠিতি।
 পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে,তিনি দীর্ঘদিন যাবত লিভার জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।গত কয়েক বছর যাবত ভারত এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন।তার লিভারের কোষের প্রায় পুরোটাই  ছিলেন  মৃত্যু প্রায়। বহু চেষ্টার পরও প্রিয়তম স্বামীকে রক্ষা করতে পারেনি তার স্ত্রী।প্রিয় স্বামীকে নিজের লিভারের ৩০ শতাংশ দিয়ে দেওয়ার পরও বাঁচানো যায়নি তাকে।গত দেড় মাস আগেই দিল্লির এ হাসপাতালটিতেই তার অপারেশন করা হয়।এরপর তিনি আশংকাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভোর রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে পৃথিবীরর মায়া ত্যাগ করে চলে যান না ফেরারদেশে।
স্থানীয় ভাবে জানা গেছেন,ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সদালাপী, ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পৌর মেয়র।তিনি ছিলেন পৌর সহ আশপাশের এলাকা উপজেলার মানুষের নিকট প্রিয় ব্যাক্তি।সেজন্য তিনি একটানা চার বার পৌর মেয়র হিসেবে নিবাচিত হয়েছেন, দলমত নির্বিশেষে মানুষের নিকট তিনি ছিলেন ভালোবাসা,সন্মানের মানুষ।এছাড়াও তার পিতা মৃত. শামসুল ইসলাম তৎকালীন দর্শনা ইউনিয়ন পরিষদের তিনি বারের চেয়ারম্যান ছিলেন।মেয়র মতয়িার রহমানের  স্ত্রী ও ২ কন্যা সন্তান রয়ছেনে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাফুজুর রহমান মঞ্জু সহ, পৌরবাসী,রাজনৈতিক ব্যাক্তি, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী সহ সকল পেশা শ্রেণীর মানুষ গভীর শোক প্রকাশ সহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দোয়া কামনা করেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন