লোহাগড়ায় জবর-দখল করে জমি বিক্রির অভিযোগ,থানায় জিডি

লোহাগড়ায় জবর-দখল করে জমি বিক্রির অভিযোগ,থানায় জিডি

নড়াইল প্রতিনিধি:

নড়াইলের লোহাগড়া কলেজপাড়ায় বন্টকনামা ব্যতীত জবর-দখল করে জমি বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগী লোহাগড়া কলেজপাড়ার চাঁদখানের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান ও জাহিদুর রহমান জানান, তাদের শরিক হুরিয়া বেগমসহ তার দুই সন্তান বন্টকনামা ব্যতীত জবর-দখল করে লোহাগড়া মৌজার ৩৫৪ দাগের প্রায় ছয় শতক জমি ৩৬ লাখ টাকায় বিক্রির পায়তারা করছেন। এ মর্মে জমি গ্রহীতা রফিকুজ্জামান রাসেলের কাছে বায়নাপত্র করার কথা জানা গেছে। গত ১৫ নভেম্বর (২০২২) বিকেলে বায়নাকৃত জমি পরিমাপপূর্বক কয়েকজন ব্যক্তি সীমানা পিলার দিয়েছেন। ঘটনার পরদিন (১৬ নভেম্বর) ভুক্তভোগী জাহিদুর রহমান লোহাগড়া থানায় জিডি করেন। তবুও হুরিয়া বেগমসহ তার সন্তানরা জমি বিক্রির পায়তারা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, হুরিয়া বেগম বাদী হয়ে গত ২১ ডিসেম্বর নড়াইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওয়াহিদুর রহমান, স্ত্রী শম্পা বেগম, বাড়ির ভাড়াটিয়া জসিমসহ তার স্ত্রী লাবনী বেগমের নামে মামলা করেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করেন, হুরিয়া বেগমের স্বামী আইয়ূবুর রহমানের মৃত্যুর পর দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। যদিও ছেলে বর্তমানে প্রবাসী এবং দুই মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে। তার স্বামীর নামীয় হাল রেকর্ডের সম্পত্তি থেকে তাদের উচ্ছেদের জন্য বিবাদীপক্ষ বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে। গত ২০ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে হুরিয়া বেগম ও তার মেয়ে লোহাগড়া বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে বিবাদীপক্ষ বাড়ির সামনে তাদের আক্রমণ করে।

তবে ভুক্তভোগী ওয়াহিদুর রহমান বলেন, হুরিয়া বেগম আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন; তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে শায়েস্তা করার জন্য বিভিন্ন প্রকার মানসিক নির্যাতনসহ ষড়যন্ত্র করছেন। আমাদের পারিবারিক সম্পত্তি বন্টকনামা ব্যতীত বিক্রির জন্য নিজের পছন্দ মতো জায়গা দখল করেছেন হুরিয়া বেগম। আমার বড় দুই ভাই ইতালি প্রবাসী। অপরজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। আমাদের অহেতুক হয়রানি করছেন হুরিয়া বেগম। তিনি সম্পর্কে আমার বড় ভাই আইয়ূবুর রহমানের স্ত্রী। প্রায় ছয় বছর আগে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর হুরিয়া বেগম আমাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।

ওয়াহিদুর রহমান আরো বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর আমার কৃষি খামারের তার চুরি হয়। এ নিয়ে হুরিয়া বেগম ও তার দুই ভাইয়ের ছেলের সঙ্গে বাকবিতন্ডার একদিন পর (২১ ডিনেম্বর) আমাদের নামে মামলা হয়। তাদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। বরং তারা আমার গলা চেপে ধরে। এছাড়া ১৮ ডিসেম্বর খামার ঘরের তালা ভেঙ্গে মোটরসহ যন্ত্রপাতি চুরি হয়েছে। সম্প্রতি আমার কলাগাছ, শসা, টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন গাছ কেটে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। পানিকল চুরি হয়েছে। বাড়ি থেকে আমাকে উৎখাতের অপচেষ্টা চলছে। এসব ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন